বাংলাদেশ, অদম্য উন্নয়ন যাত্রা’: যুক্তরাজ্য হাউস অফ লর্ডসে স্টাডি সার্কেলের রিপোর্ট

আনসার আহমেদ উল্লাহ//

 

লন্ডন-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টাডি সার্কেল গত ২২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের হাউস অফ লর্ডসে ‘বাংলাদেশ: অদম্য উন্নয়ন যাত্রা’ শীর্ষক এক সেমিনারে সাম্প্রতিক উন্নয়নের একটি পরিসংখ্যান প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

 

সংস্থাটির চেয়ারপার্সন সৈয়দ মোজাম্মেল আলীর সভাপতিত্বে হাউস অফ লর্ডসের অ্যাটলি অ্যান্ড রিড রুমে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।

 

প্রধান অতিথি ড. গওহর রিজভী তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নের একটি অসাধারণ চিত্র তুলে ধরেছে, তবে এটি অর্জনের জন্য আমাদের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, ধারাবাহিকতা, ন্যায়সঙ্গত উন্নয়ন এবং জনগণ কী চায় সেদিকে অবিচল দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র জন্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন আর সেটাই হয়েছে বাংলাদেশে।

 

সৈয়দ মোজ্জামেল আলী তার সূচনা বক্তব্যে পরিসংখ্যান প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বর্তমান সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি হলেও এই অগ্রগতির খবর বাংলাদেশের বাইরে পৌঁছাচ্ছে না।

 

 

স্টাডি সার্কেলের উন্নয়ন পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বেশিরভাগ সেক্টরের পরিসংখ্যানগত তথ্যের সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, পরিবহন ও যোগাযোগ, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য, কোভিড-১৯ মোকাবেলা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, কৃষি, আবাসন, কর্মসংস্থান, বাণিজ্য ও শিল্প, ইপিজেড এবং দশটি চলমান মেগা প্রকল্প।

 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন লর্ড পপট, রুশনারা আলী এমপি, ব্যারনেস উদ্দিন এবং বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ। স্টাডি সার্কেলের সমন্বয়ক জামাল আহমেদ খান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং শিল্পী  রুবাইয়াত জাহান ও রাজা কাশেফ একটি দেশাত্মবোধক গান গেয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটান।

 

প্রতিবেদনটিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হবে, যার মাথাপিছু আয় হবে ১২ হাজার ৫শ মার্কিন ডলারের বেশি এবং বৈদেশিক বাণিজ্য হবে ৩শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) এর তথ্য মতে বৃহৎ বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার ক্ষমতা, ক্রমবর্ধমান আরএমজি চাহিদা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশ ২০৩৬ সালের মধ্যে ২৪টি বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।

 

স্টাডি সার্কেল সংস্থাটির মতে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, পরিবহন, কৃষি, শিল্প, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে বর্তমান সরকারের সাফল্য অসামান্য। সরকারের এই অগ্রগতি বাংলাদেশকে নতুন ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন