অর্থনীতি-কৃষি পুনরুদ্ধারে জাতীয় বৈঠক উত্তর কোরিয়ায়, নেতৃত্বে কিম

জিবিনিউজ24ডেস্ক//  

পারমাণবিক প্রকল্প ও বছরজুড়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো উত্তর কোরিয়া অবশেষে দেশের নড়বড়ে অর্থনীতি ও ভঙ্গুর কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নকে গুরত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার স্থানীয় সময় সকালে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের নেতৃত্বে এ সম্পর্কিত এক বর্ধিত জাতীয় বৈঠক শুরু হয়েছে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা কেসিএনএর বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির শাসনক্ষমতায় আসীন এবং একমাত্র রাজনৈতিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির এই বর্ধিত সভায় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও পূর্ণ সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন। বৈঠকের প্রথম দিনে গ্রাম পর্যায়ে নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পর্যালোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

north korea

পিয়ংইয়ংয়ের বৈঠক

এছাড়া কৃষি সম্পর্কিত প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রকল্পের উপস্থাপনও হয়েছে বৈঠকের প্রথম দিন। প্রকল্পগুলো যাচাই এবং কোনগুলোকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে অনুমোদন করা হবে— সোমবার সে বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেসিএনএ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি ও কৃষি ব্যবস্থা এমতেই ভঙ্গুর ছিল; কোরোনা মহামারি শুরুর পর থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্য প্রায় পুরোটাই চীনের ওপর নির্ভরশীল। করোনা মহামারি শুরুর সময়, অর্থাৎ ২০২০ সালে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করেছিল দেশটি এবং মাত্র কিছুদিন আগে ফের চীনের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য আংশিকভাবে সীমান্ত খুলেছে। দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে সীমান্ত বন্ধ থাকায় বৈদেশিক বাণিজ্য তলানিতে ঠেকেছে দেশটির, যার গুরুতর প্রভাব পড়েছে দেশটির কৃষি ব্যবস্থা, খাদ্যেৎপাদন ও সার্বিক অর্থনীতিতে।

চলতি মাসে উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার এক রাষ্ট্রীয় বৈঠকেও উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রিসভার সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, অর্থনীতি ও কৃষিক্ষেত্রে বর্তমানে গুরুতর ঘাটতি দেখা দিয়েছে উত্তর কোরিয়ায়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সরকারি সংস্থা থার্টি এইট নর্থ প্রোগ্রাম উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। সংস্থাটির উত্তর কোরিয়া সম্পর্কিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘উত্তর কোরিয়ায় ভয়াবহ খাদ্য ঘাটতি শুরু হয়েছে। ১৯৯০ সালের দুর্ভিক্ষের পর এই মাত্রার খাদ্য ঘাটতি এর আগে দেখা যায়নি।’

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন