জিবিনিউজ24ডেস্ক//
বিয়ের উপহার হিসেবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে ‘ফ্রগমোর কটেজ’ নামের যে প্রাসাদটি পেয়েছিলেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মের্কেল, তার মালিকানা হারিয়েছেন এই দম্পতি।
সূত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের দৈনিক দ্য সান ও ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, উপহারের সেই প্রাসাদটি নিজের ছোটভাই এবং ব্রিটেনের রাজপরিবারের ‘নিন্দিত’ সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে দিয়ে দিয়েছেন প্রিন্স হ্যারির বাবা রাজা তৃতীয় চার্লস ।
‘ফ্রগমোর কটেজ’ যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের মালিকানাধীন বেশ পুরোনো একটি প্রাসাদ। সংস্কারের অভাবে জীর্ণ হয়ে পড়েছিল প্রাসাদটি। রানির নির্দেশ অনুযায়ী ২০১৮ সালে হ্যারি-মেগানের বিয়ের আগে ২৪ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০ কোটি ১১ লাখ টাকা) ব্যয়ে প্রাসাদটি সংস্কার করা হয়।
গত ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত হয় প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘স্পেয়ার’। আত্মজীবনীতে রাজপরিবারের অন্দরমহলের বিভিন্ন তিক্ত স্মৃতির বিবরণ দিয়েছেন তিনি।
স্পেয়ার প্রকাশের পর থেকেই আলোচনা চলছিল— ‘ফ্রগমোর কটেজ’ ছেড়ে দিতে হতে পারে হ্যারি ও মেগানকে। তাদেরকে এ ব্যাপারে অবহিতও করা হয়েছিল।
সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য সান ও ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে রাজপরিবারের ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। তার অংশ হিসেবে পরিবারের সদস্যদের বার্ষিক ভাতাও কমানো হচ্ছে।
বর্তমানে উইন্ডসরে ‘রয়েল লজ’ নামে একটি প্রাসাদে থাকেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু, বাৎসরিক ভাতা পান ২ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড। তবে সূত্র জানিয়েছে, শিগগিরই তার ভাতার পরিমাণ কমানো হবে; আর তা কমে গেলে ৩০ কক্ষবিশিষ্ট রয়েল লজে থাকা কঠিন হবে অ্যান্ড্রুর জন্য। কারণ তখন ভাতার একটি বড় অংশই ব্যয় হবে প্রাসাদের কর্মচারীদের বেতন বাবদ।
আদালতে দোষী সাব্যস্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও ভার্জিনিয়া গ্রিফিথ নামের এক মার্কিন নারীকে যৌন নিপীড়ণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ছোট ভাইকে জনসমক্ষে না আসার আদেশ দিয়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস ।
রাজপরিবারের সদর দপ্তর বাকিংহাম প্রাসাদের কোনো কর্মকর্তা এ সম্পর্কে কোনো কথা বলতে চাননি। মন্তব্য করা থেকে বিরত আছেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানও।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন