জিবিনিউজ24ডেস্ক//
দেশীয় পণ্যের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজে পরিবহন করাসহ ৬ নির্দেশনা দিয়েছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন মো. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অন্যান্য নির্দেশনাগুলো হচ্ছে— পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টগুলোকে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে অন্যূন ১৫ দিন পূর্বে পণ্য বোঝাইয়ের জন্য ওয়েভার সনদের আবেদন করতে হবে; শিপিং এজেন্টের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ওসান গোয়িং শিপস্ ওনার অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন বরাবর বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের প্রাপ্ত্যতা নিশ্চিত করণের জন্য অনুরোধ করবে। নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মতামত দেবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের প্রাপ্যতার নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ নেই মর্মে ওয়েভার সনদ জারি করবে।
এছাড়া, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নির্দিষ্ট বন্দরে ও তারিখে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে অথবা নির্দিষ্ট বন্দরে ও তারিখের মধ্যে পণ্য বোঝাই করতে ব্যর্থ হলে দায়ী পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণে বাধ্য থাকবে; বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ বন্দরে আগমনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অথবা সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান অনুযায়ী পণ্য বোঝাইয়ের কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ তার ধারণ ক্ষমতা বা অবশিষ্ট ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী পণ্য বোঝাইয়ের অগ্রাধিকার পাবে এবং পণ্য পরিবহনের ব্যয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরিসেবার মান অনুযায়ী প্রতিযোগিতামূলক পরিবহন খরচ নির্ধারণ করা হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১ মার্চ নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হকেরর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ (স্বার্থরক্ষা) আইন ২০১৯ এর আলোকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় প্রণীত বিধির যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়।
সমন্বয় সভায় মেইন লাইন অপারেটর, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ফিডার ভেসেল অপারেটর, বাংলাদেশ ওসান গোয়িং শিপস্ ওনার অ্যাসোসিয়েশন, এইচ আর লাইনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ (স্বার্থরক্ষা) আইন ২০১৯ ও প্রণীত বিধির ওপর বিস্তারিত আলোচনা শেষে পণ্যের দ্রুত পরিবহন, পরিবহন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রেখে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ (স্বার্থরক্ষ) আইনের যথাপোযুক্ত প্রয়োগ নিশ্চিতে সর্বসম্মতিক্রমে এসব সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন