জিবিনিউজ24ডেস্ক//
ইউরোপের স্বপ্নে বিভোর হয়ে ফের বিপজ্জনক যাত্রায় অভিবাসীরা। মূলত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইতালি প্রবেশের আশায় নৌ-যাত্রা করে বিপদের মুখে পড়েছেন ১৩০০ অভিবাসী। খবর পেয়ে অভিবাসীদের উদ্ধারে ইতালির উপকূলে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনাকীর্ণ নৌকায় থাকা ১৩০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করতে ইতালির উপকূলে বিশাল অভিযান চলছে।
ইতালির নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষীরা জানিয়েছে, তারা দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যালাব্রিয়ার কাছে অভিবাসীবোঝাই তিনটি নৌকাকে সাহায্য করার জন্য ছুটে যাচ্ছে।
বিবিসি বলছে, নৌকার সংখ্যা এবং এর আরোহী অভিবাসীদের সংখ্যার কারণে ইতালির উপকূলরক্ষীরা এই অভিযানটিকে ‘বিশেষত জটিল’ বলে আখ্যায়িত করেছে। এর আগে ইতালির এই একই অঞ্চলে জাহাজডুবির ঘটনায় অন্তত ৭৩ জন অভিবাসীর প্রাণহানি হয়েছিল এবং সেই ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পর সেখানে আবারও উদ্ধার অভিযানের খবর সামনে এলো।
দুই সপ্তাহ আগে ডুবে যাওয়া সেই জাহাজটি তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির বন্দর থেকে রওনা হয়েছিল। বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের তথ্য অনুযায়ী- দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটিতে ১৪০ থেকে ১৫০ জন আরোহী ছিলেন। আর নিহতদের মধ্যে ছয় বছর বয়সী এক বালকও ছিল যার মৃতদেহ গত শুক্রবার উদ্ধার করা হয়।
গত মাসের এই বিপর্যয়কর ঘটনার পর ইতালির ডানপন্থি সরকারের বিরুদ্ধে অভিবাসীদের প্রাণহানি রোধে যথেষ্ট কাজ না করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর জবাবে সেসময় ইতালীয় প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি তার মন্ত্রিসভাকে দুর্ঘটনাস্থল কুট্রো শহরে নিয়ে গিয়েছিলেন।
এছাড়া তিনি মৃত্যু ও গুরুতর আঘাতের জন্য দায়ী পাচারকারীদের জন্য ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সাজা প্রস্তাব করেছেন।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতালিতে এ বছর সমুদ্রপথে অভিবাসীদের আগমন বেড়েছে। ইউরোপের এই দেশটিতে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিনগুণ বেশি অভিবাসী এসেছেন বলে রেকর্ড করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সমুদ্রপথে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকারী অভিবাসীদের জন্য ইতালি অন্যতম প্রধান এক প্রবেশপথ। কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় এই রুটটি বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক হিসেবে পরিচিত।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রোজেক্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে মধ্য-ভূমধ্যসাগরে অন্তত ২০ হাজার ৩৩৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন