জিবিনিউজ24ডেস্ক//
পুলিশ কর্মকর্তা খুনের মামলার আসামি আরাভ খানের দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে যাওয়া ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির ডিবি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, স্বর্ণের দোকানের মালিক আরাভ খান যে পুলিশ খুনের আসামি তা সাকিবকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এরপরও তিনি দুবাই গেছেন। এটি দুঃখজনক। তদন্তের স্বার্থে সাকিব ও হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুবাইয়ে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তবে উদ্বোধনী মঞ্চে না উঠে ১০ মিনিটের মধ্যে চলে যান তিনি। একই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মঞ্চ মাতান দেশের আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
ডিবি প্রধান বলেন, আমাদের পুলিশের একজন মেধাবী কর্মকর্তা ছিলেন পরিদর্শক মামুন। তাকে শুধু হত্যাই করা হয়নি, তার লাশ যেন না পাওয়া যায় সেজন্য কালিগঞ্জের জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর মামলা হয়, যার তদন্ত করেছে ডিবি। আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম পালিয়ে যায় এবং নকল একজন আসামি জেলখানায় দেয় সে। পরে ডিবির তদন্তে নকল আসামির ঘটনা সামনে আসে। এরমধ্যে মূল আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ভারতে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই যায় সে।
তিনি আরও বলেন, আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম একজন খুনি, সে একজন মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তাকে খুন করেছে। মিডিয়াতে অনেকে বলার পরও সাকিবসহ অন্যান্য তারকারা খুনের মামলার আসামির ডাকে দুবাই গেছেন এবং তার স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে যোগ দিয়েছেন।
আমরা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে ইন্টারপোলের সহায়তায় রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব, যোগ করেন ডিবিপ্রধান।
আরাভ খানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কতগুলো মামলা রয়েছে জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ১২টি ওয়ারেন্ট রয়েছে, মামলা রয়েছে, চার্জশিটও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরাভ খানই যে রবিউল ডিবি কখন নিশ্চিত হয়েছে? -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যখন কোনো মামলার চার্জশিট দেওয়া হয় তখন আসামিরা কে কোথায় আছে তা খোঁজ খবর নেওয়া হয়। আরাভ খানের বিভিন্ন ছবি প্রকাশ হয় এবং সাকিব আল হাসান টেলিভিশন ও ফেসবুকে ওই স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনের বিজ্ঞাপন দিচ্ছিলেন। সবকিছু মিলে আমরা তথ্য পাই আরাভ খানই পুলিশ খুনের মামলার আসামি রবিউল ইসলাম।
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, খুনের পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম ধারণ করেন রবিউল ইসলাম। ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে তিনি এখন দুবাইতে অবস্থান করছেন।
ক্রিকেটার সাকিব অথবা অন্য যারা গিয়েছেন দুবাইতে ডিবি কারও সঙ্গে কথা বলেছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, সাকিবসহ অন্যান্যদের জানানো হয়েছে। জানানোর পরও তারা কেন পুলিশ খুনের মামলার আসামির ডাকে দুবাই গেলেন এটা আমি জানি না।
সাকিব-হিরো আলম দেশে ফিরলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, তদন্তের স্বার্থে আমরা যদি প্রয়োজন মনে করি তবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন