রুবেল আহমেদ || মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ||
হিন্দু ট্রাস্টের রায় মৌলভীবাজার কালীবাড়িতে মন্দির হবে, দোকান নয়। অবশেষে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের রায়েও এলাকাবাসীর দাবি প্রতিফলিত হলো । সেখানে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে , মৌলভীবাজার শহরের পুরাতন কালীবাড়িতে মন্দির নির্মাণ করতে হবে। কোন অবস্থায় দোকান কোঠা নির্মাণ চলবে না ।
এর আগে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের আওতায় মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ মন্দিরের জায়গায় শুধুমাত্র মন্দির নির্মানের জন্যই ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও তার ব্যাঘাত ঘটেছে বলে অভিযোগ ছিল।
মৌলভীবাজারে পুরাতন থানা সংলগ্ন কালী মন্দিরের জায়গায় মন্দির নির্মাণের আদেশ দিয়ে রবিবার ১৯ মার্চ সচিব( উপসচিব) কৃষ্ণন্দু কুমার পাল স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পত্র জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে।
“সারা দেশে সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও সংস্কার শীর্ষক প্রকল্প” এর আওতায় শুধু একতলা বা দ্বিতল মন্দির নির্মানের নির্দেশনা থাকলেও তার ব্যতিক্রম ঘটেছে মৌলভীবাজারে।
কালীবাড়ির সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য কালীবাড়ি কমিটি ও পূজা উদযাপন পরিষদের মধ্যে গড়ে উঠেছিল এক শক্ত সিন্ডিকেট । এ দের কারণে পুরাতন কালীবাড়িতে এবার কালীপূজা হয় নি বলে বিভিন্ন লোকজন মন্তব্য করেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলা শহরের পুরাতন কালীবাড়ি মন্দির প্রায় ১৪০ বছরের পুরনো ।
ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরের নতুন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। সূচনা লগ্নে ইঞ্জিনিয়ারিং ত্রুটির কারণে কমিটির নির্মাতারা উদাসীন থাকায় নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার দেখে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা রাজ সরকার উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কাজ বন্ধ করেন এবং প্রশাসনিক নির্দেশ মোতাবেক ছাদ ঢালাই ভেঙ্গে পুনরায় ছাদ নির্মিত হয়।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস গেল বছর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌলভীবাজার পুরাতন কালী মন্দির নির্মাণে সৃষ্ট সমস্যা গুলো সরজমিনে পরিদর্শন করেন।
এসময়ে তিনি পুরাতন কালীবাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটিসহ সকলকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন।সরজমিনে পরিদর্শন কালে শ্রী শ্রী পুরাতন কালীবাড়ীতে মন্দিরের কোন অস্তিত্বই খুঁজে পাননি বলে মন্তব্য করেন।
এ বিষয় রাজ সরকার বলেন, মন্দির হবে, দোকান নয়,হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাষ্টের রায়’কে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতার করায় মাননীয় সাংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমেদ এমপি , নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, এম,পি ,মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি , হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি রানা দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি জে,এল ভৌমিক, সম্পাদক, অধ্যাপক চন্দনাথ পৌদ্দার, ট্রাষ্টি সচিব অশোক মাধব রায়,,সচিব বনমালী ভৌমিক, সচিব,ডা. কৃষনেন্দু পাল, চেয়ারম্যান সদর উপজেলা পরিষদ কামাল হোসেন মেয়র মৌলভীবাজার পৌরসভা, ,ফজলুর রহমান ও রেডটাইমসের প্রধান সম্পাদক সৌমিত্র দেব টিটু মহোদয়গণ এর প্রতি মৌলভীবাজার শ্রী পুরাতন কালী বাড়ি রক্ষা কমিটি পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি আরোও বলেন, যারা মন্দিরের টাকা মেরে দোকান বরাদ্দ দিয়েছে , নিজ সম্প্রদায়কে প্রশাসনের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে , নিত্যপুজা বন্ধ করেছে , ঠিকাদারকে দুই সূতা রড দিয়ে ছাদ ঢালাইয়ে সহযোগিতা করা ও মূর্তি সরানো সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন