জিবিনিউজ24ডেস্ক//
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ক্রীড়াপ্রেমী। নানা খেলায় সাফল্য আসলে ক্রীড়াবিদ, সংগঠকদের উৎসাহ দিয়ে থাকেন। জাতীয় খেলা কাবাডিতে বাংলাদেশ জাতির পিতার নামে টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন। বাংলাদেশ কাবাডি দলের চাওয়া ট্রফি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ।
আজ (মঙ্গলবার) ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে তুহিনদের হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ট্রফি হস্তান্তরের পর গণমাধ্যমের সামনে কাবাডি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ অভিভাবক তুহিনদের চাওয়া পূরণের উদ্যোগ নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন, ‘গতবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর উনারা চেষ্টা করছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দেখা হবে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টের ফাইনালে। সেখানেই আমি জাতীয় কাবাডি দলের খেলোযাড়দের দেখা করার বিষয়টি জানাবো। প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই পৃষ্ঠপোষকতা করেন জাতির পিতার ঘোষিত জাতীয় খেলা কাবাডিকে।’
জাতীয় খেলা কাবাডি কিন্তু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করতে হচ্ছে ভলিবল স্টেডিয়ামে। কাবাডির নিজস্ব আন্তর্জাতিক ভেন্যু নেই। এই প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘আমরা কেরানীগঞ্জে কাবাডির জন্য একটি জায়গা তৈরী করার পরিকল্পনা করেছিলাম। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আপাতত কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমরা হাল ছাড়িনি। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে গেলে কমপ্লেক্স তৈরীর কাজ শুরু করবো। কারণ একটার পর একটা অর্জন কাবাডি থেকে এসেছে। তাদের জন্য কিছু করা দরকার। কেরানীগঞ্জে কমপ্লেক্স তৈরীর আগে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম ও শেখ রাসেল রোলার স্কেটিংয়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করা যায়। কারণ এই দুটি স্টেডিয়ামও আমাদের।’
কাবাডিতে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা সম্পর্কে প্রধান অতিথি বলেন, ‘আইজিপি মহোদয় ও কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অত্যন্ত যোগ্য মানুষ। উনারা কার্যক্রম দেখিয়েছেন বলেই পৃষ্ঠপোষকরা এগিয়ে এসেছেন এই টুর্নামেন্টে। আগে এত ব্যাপক আয়োজন দেখা যায়নি। আগামীতেও পৃষ্ঠপোষকরা এগিয়ে আসবেন। আমরাও বরাদ্দ বাড়ানোর চেষ্টা করবো।’
বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডির চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ কাবাডি নিশ্চিত করেছে। কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বিশ্বকাপ কাবাডি আয়োজনের স্বপ্ন দেখছেন, ‘যে কোনো বড় ধরনের আয়োজন নিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকে। অদম্য ইচ্ছা ও শক্তি দিয়ে এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সহায়তায় আমরা বড় টুর্নামেন্ট আয়োজনের চেষ্টা করেছি। দেশের জাতীয় খেলা হিসেবে কাবাডির উন্নয়নে আমরা সবাই এক সঙ্গে কাজ করে দেখিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি যে, বড় টুর্নামেন্টের আয়োজনও আমরা করতে পারি। বিশ্বকাপ কাবাডি আয়োজনের ভেন্যু এখনো ঠিক হয়নি। তবে আমাদের দিলে আমরা চেষ্টা করবো।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন