জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধি এবং হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে লন্ডন, এসেক্সে, ইয়র্কসহ বেশ কিছু শহরে আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। এর ফলে ইংল্যান্ডের অর্ধেকের বেশি এলাকায় অতিরিক্ত বিধিনিষেধের আওতায় আসবে। শনিবার হেলথ সেক্রেটারী ম্যাট হ্যানকক এখবর নিশ্চিত করেছেন।
লন্ডনের এমপিগন ও মেয়র সাদিক খানও বিবিসি এখবর নিশ্চিত করেন। নতুন করে আরোপ করতে যাওয়া বিধি নিষেধের ফলে হাউজ হোল্ড মিক্সিং বা এক ঘরের বাসিন্দা অন্য ঘরের বাসিন্দাদের সাথে দেখা করতে পারবেন না।
টায়ার ২ এর অধীনে পাব ও রেস্টুরেন্টেও পরিবারের সদস্যরা মিলিত পারবে না। একই সাথে গণপরিবহন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছেন গ্রেটার ম্যানচেস্টারে কভিডের সর্বোচ্চ বিধিনিষেধের স্তরে চলে এসেছে। এখানেও লিভাপরপুলের মত টায়ার ৩ বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে।
এদিকে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেছেন, লন্ডনবাসী আরো কড়াকড়ি দেখতে চায় না। তবে মানুষের সুরক্ষায় জন্য এটি প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তিনি।
তিনি অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্ধের জন্য সরকারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, সামনে শীতে খুব কঠিন সময় পার করতে হবে।
লন্ডনের লেবার দলীয় মেয়র সাদিক খান দলীয় লিডার স্যার কেয়ার স্টারমারের সাথে সুর মিলিয়ে বলেছেন, করোনা সংক্রমন কমাতে ‘সার্কিট ব্রেকার’ বা স্বল্প সময়ের জন্য দেশব্যাপী লকডাউনের প্রয়োজন রয়েছে।
এদিকে লেবারের ছায়ামন্ত্রী ইলফোর্ড নর্থের এমপি ওয়েস স্ট্রিটিং বলেছেন, লন্ডনে নতুন বিধিনিষেধের ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নামে মাত্র খুলা থাকছে। তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আরোও অর্থনৈতিক সহায়তার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন বহু রেস্টুরেন্ট, পাব, বারসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলা থাকবে কিন্তু কেউ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন