জিবিনিউজ24ডেস্ক//
আগামী ৩০ মার্চ থেকে সরকারি চিকিৎসকদের ‘ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস’ শুরু হবে। অর্থাৎ এদিন থেকে কর্মসময়ের পর সরকারি হাসপাতালেই ব্যক্তিগত রোগী দেখার সুযোগ পাবেন তারা।
‘ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস’-এ অধ্যাপকের ফি (ভিজিট) হবে ৫০০ টাকা। এই টাকার মধ্যে সংশ্লিষ্ট অধ্যাপক পাবেন ৪০০, চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতাকারী ৫০ এবং সার্ভিস চার্জ ৫০ টাকা ধরা হয়েছে।
সহযোগী অধ্যাপক বা সিনিয়র কলসালটেন্টের ফি হবে ৪০০ টাকা। এরমধ্যে সংশ্লিষ্ট সহযোগী অধ্যাপক বা সিনিয়র কলসালটেন্ট পাবেন ৩০০ টাকা, চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতাকারী ৫০ এবং সার্ভিস চার্জ ৫০ টাকা।
সহকারী অধ্যাপক বা জুনিয়র কনসালটেন্ট অথবা পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রিধারীর ফি হবে ৩০০ টাকা। এরমধ্যে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক পাবেন ২০০, চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতাকারী ৫০ এবং সার্ভিস চার্জ ৫০ টাকা।
এছাড়া এমবিবিএস বা বিডিএস ও সমমানের চিকিৎসকদের ফি হবে ২০০ টাকা। এরমধ্যে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার পাবেন ১৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতাকারীর জন্য ২৫ টাকা এবং সার্ভিস চার্জ ২৫ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ সংক্রান্ত সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রথমে আমরা ১০টি জেলা ও ২০টি উপজেলায় এ প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছি। এ কার্যক্রমে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে সেটি দূর করে পর্যায়ক্রমে আমরা ৫০০টি উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু করতে যাব। সর্বমোট ৬৪টি জেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার কিংবা কনসালটেশনে যে টাকা নেন, চেম্বার প্র্যাকটিসে তার চেয়ে অনেক কম টাকা নেবেন।
সরকারি চিকিৎসকদের এ প্র্যাকটিসের কারণে রোগীরা আরও ভালো সেবা পাবেন বলেও আশা করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক দেশেই সরকারি চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন না। আমরা সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অনুমোদন দিই। এখন তারা যাতে সেই প্র্যাকটিসটা সরকারি প্রতিষ্ঠানে করেন কমমূল্যে, আমরা সেই চেষ্টা করছি। এতে মানুষ ভালো চিকিৎসা সেবা পাবেন। এটিতে সফল হতে পারলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারব। আমরা আরও ভালো করার চেষ্টা করব।
ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিসের কারণে সকালের সেবায় কোনো প্রভাব পড়বে কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, এ রকম কিছু আমরা দেখছি না। বিকেলের সেবার কারণে সকালের সেবায় কোনো প্রভাব পড়বে না।
তিনি আরও বলেন, সরকারি হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু হলে মানুষ আরও ভালো সেবা পাবে। যে সেবাটা তারা দিনের বেলায় পেতেন, সেটি তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত পাবেন। জরুরি সেবাও তারা হাসপাতাল থেকে পাবেন। সার্বিক স্বাস্থ্যসেবার একটি উন্নয়ন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে আন্তরিক। এ সেবা তাড়াতাড়ি চালু করতে তিনি তাগিদ দিয়ে এসেছেন।
এ চিকিৎসা সেবায় ছোট অস্ত্রোপচার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাফিসহ অন্য যে সেবাগুলো থাকে, সেগুলোও থাকবে। আর এসব সেবারও মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তার একটি অংশ পাবেন চিকিৎসক ও সহযোগিতাকারীরা, আরেকটি অংশ পাবে হাসপাতাল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন