মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে আজ রোববার বিকেলে কানাডায় বাংলাদেশ হেরিটেজ সোসাইটি অব আলবার্টা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করে. সম্মানিত অতিথি ছিলেন কানাডার বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক এর সভাপতি প্রবাসী লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক, স্টেপ টু হিউম্যানিটি অ্যাসোসিয়েশনের স্পেশাল প্রজেক্ট কমিটির চেয়ারপারসন বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হেরিটেজ এন্ড এথনিক সোসাইটি অব আলবার্টার সভাপতি বিশিষ্ট সমাজকর্মী শাহ সুফী মহ. লস্কর।
আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন বাংলাদেশ হেরিটেজ সোসাইটির সাবেক সভাপতি আহসান উল্লাহ রনি, ভাইস প্রেসিডেন্ট সুলতানা মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক চামেলী লস্কর, অনিকা স্বাতীপ্রভা ও কোষাধ্যক্ষ সাইফুর হাসান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ডাক, দিয়েছিলেন সর্বশক্তি দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন । নির্দেশ দিয়েছিলেন চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা ও সকল সহযোদ্ধাকে রক্তিম সাল্যুট।
তিনি আরো বলেন ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনারা নির্বিচারে ঘুমন্ত বাঙালিদের হত্যা করেছিলো। তাদের হাত থেকে অবুঝ শিশু, নারীরা ও রক্ষা পায়নি। ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাত্রির গণহত্যা বিশ্ব ইতিহাসের এক কলংকজনক অধ্যায়। অথচ সংঘটিত এ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই এতো সংক্ষিপ্ততম সময়ের মধ্যে এতো বেশি সংখ্যক লোককে হত্যা করার নজির ও নেই পৃথিবীর কোনো সংঘাত বা যুদ্ধ ইতিহাসে । পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী জেনোসাইডের সে নৃশংসতার নজির সৃষ্টি করেছে। হত্যা, ধর্ষণ, লুঠতরাজ, উৎখাত, উৎপীড়নসহ একটি জাতিকে বিপন্ন করার সকল চেষ্টাই তারা করেছে। এ নৃশংসতার ঘটনাকে জেনোসাইড হিসেবে জাতিসংঘ আজো স্বীকৃতি দেয়নি।’ স্বাধীনতার পর ৫২ বছর অতিক্রাান্ত হয়েছে আমাদের এ স্বীকৃতি আদায়ে সঙ্গবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে.
অনিকা স্বাতীপ্রভা তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য সম্মিলিত প্রয়াস নেয়ার আহ্বান জানান।
সভার সভাপতি শাহ সুফী মহ. লস্কর কৈশোর দেখা ৭ মার্চের ভাষণ ও মুক্তিযুদ্ধের কিছু স্মৃতিচারণ করেন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ হেরিটেজ সোসাইটি অব আলবার্টার কার্যক্রমকে তুলে ধরেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন