দেলোয়ার জাহিদ
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে অবহেলিত ও একটি বিস্মৃত অধ্যায়ের নাম 'মুজিব বাহিনী'. মুজিব বাহিনী যা বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস- বিএলএফ নামেও পরিচিত ছিলো। মুক্তিবাহিনীর সক্রিয় ও বিশেষ অংশ যা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী একটি গেরিলা বাহিনী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে হৃদয়ে ধারন করে যে হাজারো মুজিব প্রেমী সেসময় জীবনের মায়া ত্যাগ করে একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের আশংকা মাথায় নিয়ে রাজনৈতিক ও গেরিলা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের গড়ে তুলেছিলেন তাঁরাই 'মুজিব বাহিনী । রাষ্ট্রীয়ভাবে বাঙালি জাতীর মুক্তির ইতিহাসে তাদের অপাংতেয়, অনুচ্চারিত, বিস্মৃত ও অবহেলিত করে রাখার মুলে ছিলো দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত।
মুজিব বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত একটি মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী। নানাহ সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা ও এ বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন কারণ আওয়ামী লীগ ও এর ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়েই মূলত এ বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শে বিশ্বাসী কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র জনতারই অংশ । এ বাহিনী গঠনের অনিবার্য্যতা যুদ্ধকালীন ও যুদ্বোত্তর প্রতিটি ধাপে ধাপে অনুভূত হয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার সদস্যের এ বাহিনীকে চারটি সেক্টরে ভাগ করা হয় এবং এর নেতৃত্বে ছিল ১৯-সদস্যের একটি কেন্দ্রীয় কম্যান্ড।
প্রথমদিকে সেক্টর কমান্ডারগণ ভারতের ব্যারাকপুর, শিলিগুড়ি, আগরতলা ও মেঘালয় থেকে নিজ নিজ বাহিনী পরিচালনা করতেন। এ বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডার ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি, তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক ও সিরাজুল আলম খান। শেখ ফজলুল হক মনি ছিলেন মুজিব বাহিনীর প্রধান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল উবানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে দেরাদুন পাহাড়ি এলাকায় এ বাহিনীকে সামরিক ও আদর্শিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা দলের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে মুজিব বাহিনী যুদ্ধ করেছে। তারা দখলদার পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গন এবং ঢাকার আশে পাশে বেশ কিছু দুঃসাহসিক অভিযান ও পরিচালনা করেছে । মুজিব বাহিনীর সদস্যগণ রণকৌশলে ছিল বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ এবং তুলনামূলকভাবে উন্নত অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত।
বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের ভেতরে ও বাইরে কিছু মতবিরোধের সৃষ্টি হয় মুজিব বাহিনী গঠনকে কেন্দ্র করে. মুজিব বাহিনী ও বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের মধ্যে অতঃপর পারস্পরিক সমঝোতায় বিষয়টির মধ্যস্থতা করেন ডি.পি ধর ও জেনারেল মানেক শ’র মতো ভারতের কতিপয় ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ভারত সরকার মুজিব বাহিনীকে একটি সি-৪, একটি এন-১২ এবং একটি ডাকোটা বিমান সহ বেশ কিছু ট্রাক, জীপ ও আধুনিক যুদ্ধসরঞ্জামাদি প্রদান করে। বঙ্গবন্ধুর অনুপুস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দক্ষিণপন্থী অংশের নানাহ কার্যক্রমে খুবই সন্ধিহান হয়ে পড়ে ছিলেন ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
যুদ্ধের ময়দানে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ছিল মিশ্র। ৩ নং সেক্টরের ৩ নং সাব সেক্টরে নারায়ণপুর মুক্তাঞ্চলে গেরিলা যুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক মুক্তিযুদ্ধা নুরুল হক ও আতিকুর রহমান প্রকাশ্য দিবালোকে ভৈরব বাজারে পাক ঘাঁটিতে আক্রমণ করে শাহাদাত বরণ করার পর এলাকায় চরম এক নেতৃত্ব শূন্যতার সৃষ্টি হয় । সেখানে তখন এফএফ এবং বিএলএফ এর যৌথ কমান্ড প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়- গঠিত হয় সর্বদলীয় যুদ্ধ পরিচালনা কমিটি, আমাকে ছাত্র ফ্রন্টের সংগঠক মনোনীত করা হয়। সে তরুণ বয়সে ও এ বিশাল দায়িত্বের বোঝা আমাকে এতটুকু বিচলিত করতে পারেনি। আওয়ামীলীগ নেতা সার্জেন্ট কাদের, নসা কাজী, ফকির সুরুজ মিয়া, আবদুল হান্নান, ওয়ালীউল্লা প্রমুখ আমার সাথে রাজনৈতিকভাবে যোগ দেন।
ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফয়সল আলম ছিলেন মুজিব বাহিনীর ৩ নং সাব সেক্টরে একজন আঞ্চলিক সংগঠক, তাঁর সাথে যুগ্মভাবে আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হয়েও মুজিববাহিনীর জন্য কাজ করার কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেয়া হয়। বর্ষীয়ান ভাসানী ন্যাপ নেতা পন্ডিত আবদুস ছোবহান সহ আরো কয়েকজন স্বর্বদলীয় ব্যক্তিত্ব যুদ্ধ পরিচালনা কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হন। কর্ণেল (অব:) নুরুজ্জামানের শিক্ষক গয়েস আলী মাস্টার থানা এফএফ কমান্ডার এবং সাদত আলী মেক্তার, নুরুল ইসলাম প্রমুখ আমাদের কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন এবং সক্রিয় যুদ্ধে অংশ নেন। ৩ নং সেক্টরের ৩ নং সাব সেক্টর অর্থাৎ নারায়ণপুর মুক্তাঞ্চলে এফএফ এবং বিএলএফ এর যৌথ কার্যক্রম আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগকে অনেক সংগঠিত ও শক্তিশালী করেছিল। যদিও ঐতিহাসিকভাবে ঢাকার রায়পুরা ও শিবপুর বামপন্থীদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল. কম্মান্ড'র আব্দুর রউফ এর নেতৃত্বে ন্যাপ গেরিলারাও কয়েকটি অঞ্চলে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারন করে হাজারো মুজিব প্রেমী একাত্তরে জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সঁম্মুখ সমরে, এমনকি ভেতরে ও বাইরে তারা যুদ্ধ করেছিলেন, যুদ্ধ করেছিলেন হানাদারদের হঠাতে, যুদ্ধ করেছিলেন প্রতিক্রিয়াশীলদের ঠেকাতে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস থেকে মুজিব বাহিনীকে সুকৌশলে আড়াল করে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় ছাত্রলীগ থেকে অংশ গ্রহণকারী কিংবদন্তি যোদ্ধাদের কীর্তিকে ও অবনমিত করা হয়েছে এমনকি বঙ্গবন্ধুর প্রতিশ্রুতিকে অমর্যাদা ও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে । স্বাধীনতার ৫২ বছরে ও এ বিষয়গুলোর প্রতিকার হয়নি। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পরিবারের সদস্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা ফসয়ল আলম, যুবনেতা আক্কাস আলম, যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ওরফে দুলা মিয়া সহ অনেকেই যুদ্ধকালীন সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে আমাকে সহযোগিতা করেছেন । স্নেহাম্পদ সাদেক, সে সময়ের এক তরুন মুক্তিযোদ্ধা (বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ স্খানীয় পরিষদ চেয়ারম্যান) ছিলো সে জীবন বিসর্জন দেয়ার জন্য উন্মুখ এক সহযোদ্ধা। সুদূর প্রবাসে, জীবন সায়াহ্নে অনেক সহযোদ্ধার কথাই আজো মনে পড়ে। মনে পড়ে, তাদের সাহসিকতা এবং সর্বোচ্চ ত্যাগের অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্তগুলোর কথা।
বলা বাহুল্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর ছিলেন আমার একজন আত্নীয়…আমাদের পরিবার ঐতিহাসিক ভাবেই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সাথে যুক্ত। তবে একথা হলফ করে বলা যায় যে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার সুবাধে ’৭১ থেকে এ পর্যন্ত দেশকে দেয়া ছাড়া আমাদের কোনই প্রাপ্তিযোগ নেই…এবং আজো শুধু এতটুকুই প্রত্যাশা যেন আমাদের জীবদ্দশায় অন্ততঃ এ কাজগুলোর স্বীকৃতি দেয়া হয়। যে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধা, একসময় জীবনবাজি রেখে সম্মুখ সমরে অংশ নিয়ে গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে এনেছে, যারা পাকিস্তানী হানাদারদের কাছে ছিলেন সাক্ষাৎ যমদূত, তাদের অনেকেই কোন সন্মান বা পদক পাননি। আবার এমন অনেকেই রয়েছেন যারা মুক্তিযোদ্ধা হলেও পদক পাওয়ার মতো কোনো সাফল্য দেখাতে পারেনি বা কোন কোন ক্ষেত্রে তারা মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত তথ্য সরবরাহ করে নানা সুবিধা বা ফায়দা লুটেছেন। এর শ্রেষ্ঠ উদারন একাত্তরের ৪ঠা জুলাই এর ভৈরব অপারেশন। মুক্তিযুদ্ধে সাহসকিতাপূর্ণ অবদানের জন্য গ্যালান্টারি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি’র নিঃসন্দেহে হকদার হওয়া সত্বেও অজ্ঞাত কারনে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন নুরু-আতিক, তাদের যথাযথ স্বীকৃতি দেয়া না হলে দেশ কখনোই দায়মুক্ত হবে না। ভৈরবের দুই মহান মুক্তিযোদ্ধা শহীদ নুরু ও আতিক এ সন্মান পাওয়ার প্রকৃত হকদার। একজন গর্বিত সহযোদ্ধা হিসাবে আমি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূইয়ার মতো এ বৈষম্যেগুলোর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই অ্যাওয়ার্ডগুলো- ‘বীরশ্রেষ্ঠ’, ‘বীরউত্তম’, ‘বীরবিক্রম’ ও ‘বীরপ্রতীক’ নির্ধারণ ও এর বিতরণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বর্তমান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করে এ বঞ্চনাগুলোর সুস্পষ্ট প্রতিকার চাই।
বঙ্গবন্ধুর পার্শ্বে কারা ছিলেন দেশের অপরিনত রাজনীতিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নেয়ার অগ্র সৈনিক হিসেবে , ফিরে দেখা যাক সে ইতিহাস। শীর্ষ ছাত্রনেতাদের নিউক্লিয়াস গঠন এবং তার পরবর্তী কাঠামো হিসেবে ‘মুজিব বাহিনী’র সৃষ্টিকে পূর্ববাংলার তৎকালীন কমিউনিস্ট আন্দোলনের পটভূমিতে বিবেচনা করা প্রয়োজন। মুজিব বাহিনীকে দেশের রাজনৈতিক বলয়ে মতাদর্শিক এবং শারীরিকভাবে এক নতুন চরিত্রে দেখা যাওয়ার কথা ছিলো। সিরাজুল আলম খান ও তার অনুসারীদের "নিউক্লিয়াস" এর সমাজতান্ত্রিক চরিত্র ছিল বলে কিছু সাক্ষ্য মেলে তবে ছাত্রলীগের সমাজতন্ত্রবিরোধী গ্রুপের পুরোধাদের এতে অন্তর্ভুক্তিতে একটি জটিল রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হয়. সমাজতন্ত্রের অনুসারী না হওয়া সত্ত্বেও শেখ মণি ও তোফায়েল আহমেদকে "নিউক্লিয়াস" এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়. একটি বিষয় লক্ষণীয়, সে সময় দেশের মূলধারার সমাজতন্ত্রীরা তাদের আদর্শ বপনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক অবস্থান গড়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন। ভবিষ্যতের রাজনীতির ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ তৈরী করার কৌশলে লিপ্ত ছিলেন তারা। পূর্ববাংলায় এ সময় একটি মস্কোপন্থি (মণি সিংয়ের নেতৃত্বাধীন) এবং পাঁচটি পিকিংপন্থি ‘কমিউনিস্ট পার্টি বা গ্রুপ’ সক্রিয় ছিল বলে জানা যায় । এসব দল উপদলের নেতারা নানা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ছিলেন। তারা সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদ-সামন্তবাদবিরোধী রাজনীতির বিরুদ্ধাচরণের আড়ালে সত্য ও মিথ্যার বিপজ্জনক এক মিশ্রণ ঘটিয়ে ডানপন্থী ও মৌলবাদীদের জন্য রাজনীতির উর্ব্বর ক্ষেত্র তৈরী করে দিয়েছেন।
দেশ স্বাধীন করতে ভারতের ওপর নির্ভরতাকে অলঙ্ঘনীয় নিয়তি ধরে নিয়ে যখন মুক্তিবাহিনী ও মুজিব বাহিনীসহ বাংলাদেশের মূলধারার মুক্তিযোদ্ধারা এগোচ্ছিলেন তখনও প্রচন্ড বিপত্তি সৃষ্টি হয় মাওবাদীদের ভূমিকা নিয়ে। গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুজিব বাহিনী দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের জন্য নিজেদের গড়ে তুলেছিলেন মুক্তিবাহিনীকে সাথে নিয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলেন তাদের সে অবদান ও পরিচয় জাতি জানবে না, তাদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মিলবেনা তা শুধু অবিচার ও অন্যায়ই নয় , তা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের সাথে বৈরিতা ও বিশ্বাসঘাতকতা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ ও বাহিনীর পরিবার পরিজনকে তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা দেয়া প্রয়োজন।
[লেখক : মুক্তিযোদ্ধা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ ফ্যাকাল্টি মেম্বার, সভাপতি, বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক, কানাডা নিবাসী]
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন