সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার প্রায় ২১ ঘন্টা পর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য প্রচ্ছন্ন হুমকি বলে মন্তব্য করেন এই দুই নেতা।
তারা বলেন, একটি পত্রিকার রিপোর্টের জবাব তথ্যপ্রমাণ দিয়ে যুক্তিসংগতভাবে মোকাবিলা করার সাহস নেই সরকারের কর্তা ব্যাক্তিদের। যার কারণে স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো পত্রিকার আলোচিত রিপোর্টের কারণে গভীর রাতে একজন তরুণ সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়া, রাতভর তল্লাশির নামে নির্যাতন, আটকের ২১ ঘন্টা পর সম্পাদকসহ সাংবাদিকের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এ ঘটনা শুধু দুঃখজনকই নয় বরং সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতারও পরিপন্থী।
নেতৃদ্বয় বলেন, সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে আটক ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনা প্রমাণ করে এই দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হুমকির মুখে। প্রথম আলো যদি সাংবাদিকতার নীতি বিরুদ্ধ কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে, তাহলে সংক্ষুব্ধ পক্ষ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারে। প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমেই এর নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। তানা করে সরকার যে যে ঘটনা ঘটালো তাতে প্রেস কাউন্সিলের প্রয়োজনীয়তাও শেষ হযে গেল।
বাংলাদেশ ন্যাপ সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে পরিবেশ তৈরি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গণমাধ্যমের প্রত্যাশিত ভূমিকা এবং প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও শামসুজ্জামানের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন