ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ-ফিলিপাইন

জিবিনিউজ24ডেস্ক//  

নানা আয়োজন ও উৎসবমুখর পরিবেশে ম্যানিলাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ-ফিলিপাইন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দূতাবাস কর্তৃক বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করা হয়েছে।

ফিলিপাইনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত সোমবার ম্যানিলার দুসিত থানি ম্যানিলা হোটেলে ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহান উদ্দিন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।

বক্তব্যের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মা-বোনদের চরম আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পরেই বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ফিলিপাইনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিশেষভাবে তিনি জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভে ফিলিপাইনের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফারদিনান্দ মার্কোস সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অর্থনীতিতে ৩৫তম বৃহত্তম দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৩১ সালের মধ্যে একটি মধ্যমে আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং বিভিন্ন পর্যায়ে চলমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। এ সম্পর্কের নতুন উচ্চতায় উন্নীতকরণে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র বিভাগের সেক্রেটারি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এনরিকে মানালো। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ফিলিপাইনের দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বাংলাদেশের সাথে কৃষি, বাণিজ্য, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিবিধ ক্ষেত্রে বিদ্যমান অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন।

এর আগে, ২৬ মার্চ বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং দূতালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন