জিবিনিউজ24ডেস্ক//
দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সুষ্ঠু-স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিজ সেনাদের প্রত্যাহার করতে পারেনি দেশটি। মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ার সময় চরম এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আর এমন বিশৃঙ্খল সেনা প্রত্যাহারের জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষারোপ করেছে। এ নিয়ে বাইডেন প্রশাসন একটি নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনটির ১২ পাতার সারসংক্ষেপে (সামারি) বলা হয়েছে, ট্রাম্পের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে, সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টির ওপর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিয়ন্ত্রণ ‘ব্যাপকভাবে সীমাবদ্ধ’ ছিল। যার মধ্যে রয়েছে ২০২০ সালে যুদ্ধ বন্ধে তালেবানের সঙ্গে হওয়া ট্রাম্পের চুক্তিটিও।
তবে এ প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে, সেনা সদস্যদের প্রত্যাহার করার অনেক আগে বেসামরিকদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করা উচিত ছিল তাদের।
তবে ট্রাম্প এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন তার সঙ্গে ‘গুজবের খেলা খেলছে’ হোয়াইট হাউজ। তিনি দাবি করেছেন, এসব কিছুর জন্য বাইডেন দায়ী।
২০২১ সালে মার্কিন সেনাদের আফগান ছাড়ার বিষয়টি শেষ হয়েছিল রক্তক্ষয়ের মাধ্যমে। সেনারা কাবুল বিমানবন্দর ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে সেখানে একটি বড় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১৩ মার্কিন সেনাসহ ২০০ আফগান নিহত হন। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই সময় আফগানিস্তান থেকে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
যদিও পুরো প্রতিবেদনটি গোপন রাখা হয়েছে। কিন্তু এর সারসংক্ষেপ জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২১ সালে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরে তদন্ত করছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি। তারা পুরো প্রতিবেদনটি প্রকাশের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভানও ওই সময়ের বিশৃঙ্খল সেনা প্রত্যাহারের জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করে দাবী করেছেন, ট্রাম্প এর আগের বছর (২০২০ সালে) দোহায় তালেবানের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান দুর্বল করে দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি কয়েক হাজার তালেবান যোদ্ধাকে মুক্তি দিয়েছিলেন। যার কারণে সব কিছু মার্কিনিদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এদিকে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। ওইদিন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি পালিয়ে গেলে রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেন সশস্ত্র বাহিনীর যোদ্ধারা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন