রুবেল আহমেদ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ||
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৫নং আখাইলকুড়া ইউনিয়নের একটি রাস্তার ইট তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, মনুনদীর উপরে নতুন ব্রিজ এর পূর্বপ্রান্তে উত্তর ও দক্ষিণ দিকে, মনুনদীর পারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের উপর রাস্তাটি ১৮ লাখ ৩ হাজার ৯৮৬ টাকা ব্যয়ে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এইচবিবি করণ রাস্তার দৈর্ঘ ৫০০ মিটার ইট সলিং রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
এরপর থেকে আমরা খারগাঁও, আখাইলখুড়াা, সম্পাসী, পাগুরিয়াসহ আশপাশের লোকজন সানন্দে যাতায়াত করে আসছিলাম।
কিন্তু গত ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং তারিখে রহস্যজনক কারণে এই রাস্তার ইট তুলে নেন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব শেখ মো: বদরুজ্জামান চুনু, ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ খালেদ আহমদ এবং ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য সাব্বির আহমদ জাবেদ।
চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ খালেদ আহমদ ইট উত্তোলন করিয়ে প্রায় ৭০% ইট ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিয়ে রাখেন। বাকি ইট প্রায় ৩০% ইট চেয়ারম্যান শেখ মো: বদরুজ্জামান চুনু এবং ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ খালেদ আহমদ অন্যত্র নিয়ে যান বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। কিছু ইট ব্রিজের পশ্চিম পারেও স্থানান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া ইউপি সদস্য মোঃ খালেদ আহমদ ইট বিক্রির প্রস্তাব করলে, গ্রামের আব্দুর রহিম এর কাছে এক পিকআপ গাড়ি বোঝাই ইটের দাম ৬ হাজার টাকা দাবি করে। আব্দুর রহিম ২ হাজার টাকা জানালে, ইউপি সদস্য তাতে সম্মত হননি। এবং সেই পিকআপ এর ইটগুলো তিনি নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন গাড়ি চালককে। এছাড়াও রাস্তার ইটের নিচের পলি বালু ২(দুই) টাকা ঘনফুট দরে বিক্রির অফার করেন ইউপি সদস্য মোঃ খালেদ আহমদ।
তারা জানান, চেয়ারম্যান তাদেরকে জানিয়েছিলেন, উক্ত রাস্তা নাকি পাকাকরণ করা হবে। এজন্য রাস্তার ইট তোলা হচ্ছে। পরে, তারা জানতে পারেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর তীরবর্তী বাঁধ আরও প্রস্থ করবে। তাও আরও ৩/৪ মাস পর অত্র এলাকায় কাজ করবে।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাহলে কেন, এখনই ইট তুলে আমাদের এ কষ্ট দেয়া হলো?।
আমরা ইট উত্তোলনের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে, ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ইউপি সদস্য মোঃ খালেদ আহমদ আমাদের গ্রামের মানুষদের গালাগালিও করেছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন