কিশোরকে জিহ্বা চুষতে বলে ক্ষমা চাইলেন দালাই লামা

  জিবিনিউজ24ডেস্ক//  

এক কিশোরের ঠোঁটে চুম্বনের পর জিহ্বা বের করে দিয়ে চুষে দিতে পারবে কি না বলে জানতে চাওয়া তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা তীব্র সমালোচনার মুখে অবশেষে ক্ষমা চেয়েছেন।

বৌদ্ধ এই ধর্মগুরুর কার্যালয় বলেছে, তার কথায় আঘাত লাগতে পারে এমন সম্ভাবনা থেকে শিশুটি ও তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দালাই লামা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটির ঠোঁটে চুম্বন করছেন দালাই লামা।

তিব্বতের এই আধ্যাত্মিক নেতার কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ধর্মগুরু তার সাথে দেখা করতে আসা লোকজনকে প্রায়ই নিরীহ এবং কৌতুকপূর্ণ উপায়ে উত্যক্ত করেন, এমনকি প্রকাশ্যে এবং ক্যামেরার সামনেও। তিনি এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অনেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী শিশুটির প্রতি দালাই লামার এমন আচরণকে অসঙ্গত এবং বিরক্তিকর বলে মন্তব্য করেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ধর্মশালায় দালাই লামার মন্দিরে ওই ঘটনাটি ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এমথ্রিএম গ্রুপের জনকল্যাণে কাজ করা সংস্থা এমথ্রিএম ফাউন্ডেশন ধর্মশালায় দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। ওই কর্মসূচিতে প্রায় ১২০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরে এই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দালাই লামা।

গর্ত মার্চে সংস্থাটি তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে ওই অনুষ্ঠানের ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ করে। একটি ভিডিওতে ওই কিশোর দালাই লামাকে আলিঙ্গন করতে পারবে কি-না তা জানতে চায়। জবাবে আধ্যাত্মিক এই নেতা তার গালের দিকে চুম্বনের ইঙ্গিত করে বলেন, ‘প্রথমে এখানে’ এবং ছেলেটি তার গালে চুম্বন করে। পরে তাকে আলিঙ্গনও করে।

এরপর কিশোরের হাত ধরে নিজের ঠোঁট নড়াচড়া করে দালাই লামা বলেন, ‘আমি ভাবছি এখানেও’ এবং ছেলেটির ঠোঁটে চুম্বন করেন তিনি।

ওই কিশোরের কপালের কাছে নিজের কপাল এগিয়ে নিয়ে জিহ্বা বের করার আগে বলেন, ‘আমার জিহ্বা চুষে দাও।’ দালাই লামার এমন আবদারে অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজন হেসে ওঠে। পরে দালাই লামা জিহ্বা বের করে দেয়। ওই কিশোর কিছুটা ইতস্তত বোধ করলেও দালাই লামার নির্দেশ মতো জিহ্বা চুষতে ঝুঁকে যায়। এরপর কিশোর মুখ সরিয়ে নেয় এবং দালাই লামাও তাই করেন।

চীনা শাসনের বিরুদ্ধে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার পর ১৯৫৯ সাল থেকে ভারতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন তিব্বতি বৌদ্ধদের প্রধান ভিক্ষু ও আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা।

এর আগে, ২০১৯ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আধ্যাত্মিক এই নেতা বলেছিলেন, ভবিষ্যতে কোনও নারী যদি দালাই লামা হন, তাহলে তাকে আকর্ষণীয় হতে হবে। তার এমন মন্তব্যের পর ওই সময় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পরে দালাই লামার কার্যালয় সেই সময়ও বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন