১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলই বাঙালি জাতি তার আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছিল। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের একটি ঐতিহাসিক দলিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
সোমবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, আজকের দিনটা আমাদের জাতির জন্য অসম্ভব আনন্দের আর গর্বের। পৃথিবীর বুকে খুব কম রাষ্ট্র আছে যারা পরাশক্তি এবং নৃশংস শত্রুর জেনোসাইডের প্রতিরোধে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধের রক্তস্নাত লড়াইয়ে শত্রুকে পরাজিত করে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছে। আমরা সেই অল্প কয়েকটি লড়াকু রাষ্ট্রের অন্যতম, বীরের জাতি।
নেতৃদ্বয় বলেন, আজ থেকে শত বছর পার হয়ে যাবে, কিন্তু একাত্তরের সেই ১০ই এপ্রিল এই জাতির জীবনে চিরজাগরুক হয়ে থাকবে অপরিসীম গর্বে আর শ্রদ্ধায়, যেদিন মুক্তিপাগল এক জাতির অকুতোভয় সরকার গঠিত হয়েছিল, দৃঢ় গলায় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন এম ইউসুফ আলী!
তারা বলেন, বহু বছরের জাতিগত বৈষম্য, শোষণ, নিপীড়ন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির অন্তর্গত বাঙালি জনগোষ্ঠী তাদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। জন্ম নেয় একটি নতুন রাষ্ট্র - বাংলাদেশ।
নেতৃদ্বয় বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা, ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং ১৯৭২ সালের প্রণীত সংবিধান-এর সবকিছুই প্রতিফলিত করে এই অঞ্চলের বাঙ্গালি জনগোষ্ঠীর আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবি আদায় এবং সংগ্রামের ইতিহাসকে।
তারা বলেন, বাংলাদেশের আত্ম-নিয়ন্ত্রণ একটি ঐতিহাসিক সত্য। এই সত্যটি একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃতি অর্জন করেছে, তেমনি অন্যদিকে সাংবিধানিক প্রতিকৃতি লাভ করেছে। যে জাতি ‘রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা’র প্রাচীর ভেদ করে আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ে সফল হয়েছে, সে জাতি যদি নিজে তার আত্ম-প্রকৃতি ভুলে বসে, তবে ১৯৭১ মিথ্যে হয়ে যাবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন