জিবিনিউজ24ডেস্ক//
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। দিনটিকে ‘জনগণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন একাত্তরে ওই ঘোষণাপত্র প্রণয়নকারী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল-ইসলাম।
সোমবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল’ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম।
আমীর-উল-ইসলাম বলেন, আমি বিশ্বাস রাখি, ১০ই এপ্রিল; যেদিন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে, সে দিনটি রিপাবলিক ডে বা জনগণতন্ত্র দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের জন্ম সনদ উল্লেখ করে প্রবীণ এ আইনজীবী বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ নামক যে রাষ্ট্রের জন্ম হয় মুজিবনগরে, তার সাংবিধানিক ভিত্তি হচ্ছে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রই হচ্ছে বাংলাদেশের জন্ম সনদ।
তিনি বলেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছিল বাংলাদেশের জন্ম সনদ, প্রথম সাংবিধানিক দলিল, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, এককভাবে ১০ এপ্রিলের প্রথম প্রহরে কলকাতা বসে রচনা করার।
ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল দ্বৈবিকভাবেই যেন অনেক কিছু হয়ে গেল। ২৫ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। তাজউদ্দিন আহমদ ও ব্যরিস্টার এম আমীর-উল-ইসলাম জুটি বদ্ধ হলেন এবং ঐতিহাসিক সব ভূমিকা রাখলেন। মুক্তিযুদ্ধের সূচনা পর্বের ঘটনাবলি লিপিবদ্ধ করা জরুরি। বাংলাদেশে ১০ এপ্রিল গণরাষ্ট্র দিবস হিসেবে পালন করা হোক।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বাঙালির মুক্তির দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় এসেছে ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। যার কেন্দ্রে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ডিফ্যাক্টো স্বাধীনতা কিন্তু ৭ মার্চই ঘোষণা হয়েছিল।
বাংলাদেশে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত বিনা সিক্রি বলেন, ১৯৭১ এর ২৫ মার্চের পরে ভারতে বড় পরিবর্তন আসে। ওই সময়ে বাংলাদেশকে ইস্ট পাকিস্তান নয়, বরং ইস্ট বাংলা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল। ১৯৭১ এর ২৬ থেকে ২৯ মার্চ ভারতের সংসদে যে বিতর্ক হয়, সেখানে বাংলাদেশের গণহত্যা ও বাংলাদেশকে সমর্থনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র : ১০ এপ্রিল ১৯৭১ এবং একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম’ শীর্ষক দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় সেনা ব্রিগেডিয়ার আর পি সিং, মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন