হলান্ডের মাইলফলকে বায়ার্নকে উড়িয়ে দিল ম্যানসিটি

জিবিনিউজ24ডেস্ক//  

মাঠে নামলেই এখন গোল করা অনিবার্য হয়ে উঠেছে নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড আর্লিং হলান্ডের। তবে তার একক কর্তৃত্ব ছাড়াও পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পর তাদের সেই ফর্ম ধরে রেখেছে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখকে ঘরের মাঠে সিটি এককথায় উড়িয়ে দিয়েছে। এদিন আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন হলান্ড। গড়েছেন প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল করার কীর্তি।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে বায়ার্নের নতুন কোচ থমাস টুখেলের অধীনে বাভারিয়ানরা তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে নামে। তবে হার দিয়ে অভিষেক শুরুর পর টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও একই ফলের মুখোমুখি হতে হয়েছে টুখেলকে। সিটির কাছে তারা ৩-০ গোলে উড়ে গেছে। আগের ম্যাচে টমাস মুলাররা ফ্রেইবুর্গের কাছে হেরে জার্মান কাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল। 

সেই ধাক্কা সামলে এই ম্যাচ দিয়ে নতুন শুরু করতে চেয়েছিলেন টুখেল। এর আগে হুট করেই মৌসুমের মাঝপথে ইউলিয়ান নাগালম্যানকে ছাটাই করে টুখেলকে দায়িত্ব দেয় বায়ার্ন। তার দ্বিতীয় ম্যাচে ইতিবাচকভাবে শুরু করে শিষ্যরা। ম্যাচের শুরু থেকেই সিটির সঙ্গে বায়ার্নের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলে, এতে দু’পক্ষই সমান চাপ তৈরি করছিল। তবে বায়ার্নের চেয়ে ম্যান সিটির আক্রমণগুলোই ছিল অনেক বেশি গোছানো। সিটি খেলোয়াড়দের নিজেদের মাঝে বোঝাপড়াও ছিল দারুণ।

dhakapost

সিটির প্রথম লিড এনে দেওয়া রদ্রির গোলটি ছিল দুর্দান্ত

ম্যাচের প্রথম দিকে পরিকল্পনা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বায়ার্নকে খুব কমই সুযোগ দিয়েছে সিটি। ৫ম মিনিটে হলান্ড শট নিলেও সেটি ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। সিটির হাই প্রেসিংয়ের বিপরীতে বায়ার্নকে আক্রমণে যেতে সুযোগের অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছিল। ১৪ মিনিটে সিটির প্রেসিংয়ে নাকাল হয়ে তাদের গোল প্রায় উপহার দিয়েই ফেলেছিল বায়ার্ন। সে যাত্রায় অবশ্য কোনোভাবে হলান্ডকে ঠেকিয়ে দেয় তারা। চাপ সামলে দ্রুত অবশ্য গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বায়ার্ন। সিটি যদিও অতিথিদের থিতু হওয়ার খুব একটা সুযোগ দিচ্ছিল না।

এরপর হলান্ড ২২ মিনিট ফের সম্ভাবনা জাগিয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন। বায়ার্নের হয়ে দারুণ আক্রমণে ওঠেন জামাল মুসিয়ালা। ২৬ মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে তাকে ঠেকিয়ে দেন রুবেন দিয়াজ। এর এক মিনিট পরই লিড নেয় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে রদ্রির বাঁ পায়ের বুলেট গতির বাঁকানো শটটি ছিল অনেকদিন মনে রাখার মতোই। এরপরও তারা আক্রমণের ধার ধরে রাখে। যার ধারাবাহিকতায় ৩৪ মিনিটে বায়ার্নের গোল অভিমুখে আরেকটি শট নেন ইকেই গুনদোয়ান। তবে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় সেটি ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। ইতিহাদের দলটি সেই লিড নিয়েই বিরতিতে যায়। প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। কিন্তু ৪টি শটের কোনোটিই গোলের লক্ষ্যে ছিল না।

দ্বিতীয়ার্ধে টুখেল শিষ্যরা অন্যরকম শক্তিমত্তার প্রদর্শন করতে থাকে। শুরু থেকেই তারা পরপর আক্রমণ শাণায়। প্রথমে লেরয় সানের শট ঠেকান সিটি গোলরক্ষক এডারসন। একটু পর আবারও তাদের আক্রমণ, সিটি এবারও বেঁচে যায়। এরপর ভুল করে বসে বাভারিয়ানরা। বল ক্লিয়ার না করে নিজেদের মাঝে দেওয়া নেওয়া করতে গিয়ে গোল খেতে খেতেও তারা বেঁচে যায়।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন