বুলবুল আহমদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) ||
নবীগঞ্জ উপজেলায় ফুফুর কাছে দর্জি (টেইলারীর) কাজ শিখতে গিয়ে ফুফার যৌন লালসার শিকার হয়েছেন ১৬ বছর বয়সী এক তরুণী। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই ধর্ষণের ঘটনায় নবীগঞ্জ শহরজুড়ে চলছে আলোচনা পাশাপাশি -সমালোচনার ঝড়। এ মামলায় স্বামী আজির উদ্দিন ও স্ত্রী নাজমা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। পরে শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে হবিগঞ্জ ধূলিয়ার খাল জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার বিবরনে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গুমগুমিয়া গ্রামের
জৈনক তরুণী তার ফুফু নাজমা বেগমের ঘরে দর্জি (টেইলারী) কাজ শিখতে যায়। গত বুধবার সন্ধ্যার সময় নাজমার স্বামী আজির উদ্দিন ওই তরুণীকে অন্য একটি ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে । এতে সহযােগীতা করে নাজমা বেগম। নাজমা বেগম ওই ধষনের ঘটনা তার মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারন করে। মেয়েকে বাড়ীতে আনতে নাজমার বাড়ীতে যান মামলার বাদী ওই তরুনীর মা। তখন তারা তাকে ঘরে প্রবেশ করতে বাধা দেয় এবং তরুণীকে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজন নিয়ে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নাজমা ও তার স্বামী আজিরের বিরোদ্ধে মামলা দায়ের করেন । এ মামলার প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ থানার এস আই কামাল আহমেদ সহ একদল পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে স্বামী ও স্ত্রী দুজনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ আজিজুর রহমান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন