শবে কদরের সওয়াব পেতে যা করবেন

  জিবিনিউজ24ডেস্ক//  

 

‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। তাই এই রাতটি মুসলমানদের জন্য ভাগ্য রজনী হিসেবে সম্মানিত।

শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদাপূর্ণ রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। লাইলাতুল কদরের রাত হচ্ছে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত।

আম্মাজান হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কর। (বুখারী, ২০২০)

আল্লাহ তায়ালা কোরআনুল কারীমের সূরা কদরে ঘোষণা করেছেন- লাইলাতুল কদর হাজার মাসের (ইবাদাতের) চেয়েও উত্তম।

সহীহ বিশুদ্ধ হাদীস থেকে জানা যায় যে, লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশ দিনের যে কোন বিজোড় রাত্রিতে হয়ে থাকে। বিভিন্ন সহীহ হাদীসে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখে লাইলাতুল কদর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখিত আছে।

হাদীসে এ কথাও উল্লেখিত আছে, যে কোন একটি নির্দিষ্ট বিজোড় রাত্রিতেই তা হয় না। অর্থাৎ কোন বছরে ২৫ তারিখে হল, আবার কোন বছরে ২১ তারিখে হল এভাবে।  লাইলাতুল কদরের সওয়াব পেতে চাইলে ৫টি বিজোড় রাত্রেই তালাশ করতে হবে।

শবে কদরের নির্দিষ্ট কোনো আমল নেই। তবে অত্যধিক ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার ও দোয়া-মুনাজাত করা চাই। যাতে এ রাতের সৌভাগ্য অর্জিত হয়। তাই এ রাতের ফজিলত লাভে সচেষ্ট হওয়া প্রত্যেকের কর্তব্য। বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা কোনো কারণে সম্ভব না হলে— অন্তত এশা ও ফজরের নামাজ যদি জামাতের সঙ্গে আদায় করা যায়, তবুও সারারাত নামাজ পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে।

বিশেষ করে এই দিন মাগরিব ও এশার নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করা উচিত। তাহলে হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী শবে কদরের ফজিলত লাভ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ে, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৫৬)

 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন