মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের হাওরে কৃষকদের সাথে এক সঙ্গে ধান কাটলেন ৩ মন্ত্রী। তারা হলেন- কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। আজ বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবে যোগ দেন ওই ৩ মন্ত্রী। এবার জেলার শতাধিক হাওরের প্রায় ২লাখ ২৩হাজার হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩লাখ মেট্টিকটন।
হাওরের ধান টাকা উদ্বোধন শেষে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন- অন্যান্য বছর আগাম বন্যায় হাওরের ধান তলিয়ে যাওয়া নিয়ে কৃষকদেরকে শঙ্গায় থাকতে হতো। কিন্তু বন্যার পূর্বাভাসে হাওরের বোরো ফসল নিয়ে এবার শঙ্গা নেই। তবে যে বছর হাওরে ধান হয়, সেই বছর সারাদেশের মানুষ খেতে পারে। আর যে বছর হাওরের ধান তলিয়ে যায়, সেই বছর দেশে খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। সৃষ্টিকর্তা সহায় থাকলে এবার বন্যার আগেই হাওরের ধান ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন- ইতিমধ্যে প্রায় ১হাজার হারভেস্টার মেশিন দিয়ে হাওরের প্রায় ৩০শতাংশ ধান কাটা হয়েগেছে। তাই এবছর হাওরে এসে খুব ভাল লাগছে বোরো ধান দেখে। তাছাড়া এবছর ধানের যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে কৃষকরা অনেক লাভবান হবে। আমরা চাই কৃষকরা তাদের পরিশ্রমের উপযুক্ত মূল্য পাক।
এদিকে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন- প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে হাওরের ধান ঘরে তুলতে হয়। তাই প্রকৃতির সঙ্গে আমাদেরকে মানিয়ে নিতে হবে। এজন্য হাওরে আর মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ হবেনা। বৈজ্ঞানিক ভাবে গবেষনা করে ফসলের সময়টা ১২০দিনের পরিবর্তে ১০০দিন করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করি এতে আমরা সফল হব। আগাম বন্যা আসার আগেই হাওরের ধান ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন- জলাভূমি হাওরে আর কোন সড়ক হবেনা। তবে উড়াল সড়ক হবে, যার কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। তাছাড়া বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন সময় কমি আনতে পারলে, অকাল বন্যা থেকে বাঁচা সম্ভব হবে।
হাওরের ধান কাটা উৎসবে আরো উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জ ৪ আসনে এমপি এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার এহসান শাহ প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন