জিবিডেস্ক //
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য একটি বড় ঝুঁকি। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাবের কারণে এশিয়ার দেশগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলোকে খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার চীনের শানসি প্রদেশের জিয়ান সিটিতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক এশীয় জোটের প্রতিষ্ঠা সমাবেশের দ্বিতীয় অধিবেশনে পর্যবেক্ষক দেশের প্রতিনিধি হিসেবে তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো- উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং জলাবদ্ধতা, ইত্যাদি। এসব বিষয় ছাড়াও শিল্পায়ন, নগরায়ণ, উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষতার অভাব বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাসমূহের ব্যবস্থাপনার জন্য বড় হুমকি।
তিনি বলেন, এসব স্থানসমূহের কার্যকর ও সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ মহামারি আরেকটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আমরা ইউনেস্কো ঢাকা অফিস ও ইউএনডিপির সহযোগিতায় বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহের জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘের গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) জন্য একটি ধারণাপত্র প্রস্তুত করছি যেটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কে এম খালিদ বলেন, অ্যালায়েন্স ফর কালচারাল হেরিটেজ ইন এশিয়া বা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক এশীয় জোটে এ প্রতিষ্ঠাতা সমাবেশ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সত্যিই একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।
তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি, সেক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই একসঙ্গে একটি অভিন্ন লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো আর তা হলো- আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ।
প্রতিমন্ত্রী অ্যালায়েন্স ফর কালচারাল হেরিটেজ ইন এশিয়া শীর্ষক সময়োপযোগী ও চমৎকার সম্মেলনের আয়োজনের জন্য চীনের জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এবং প্রতিষ্ঠা সমাবেশের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন