জিবিডেস্ক //
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার একের পর এক পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ফলে সৃষ্ট নিরাপত্তা সংক্রান্ত চাপ থেকে মুক্তি পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরওকে-ইউএস নামের একটি নতুন জোট করছে দক্ষিণ কোরিয়া।
২৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার এক রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন গিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল। পরের দিন বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসের সাউথ লনে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষনা দিয়েছেন বাইডেন এবং ইয়োল।
বাইডেন বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গভীর বন্ধুত্ব ও ভবিষ্যতের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক জোট গঠনে সম্মত হয়েছি। আজকের দিনটি উভয় দেশের জন্য একটি উদযাপনের দিন।’
ইয়ুন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মিত্রতার বয়স ৭০ বছর। নতুন যে দ্বিপাক্ষিক জোট গঠনের ব্যাপারে আমরা সম্মত হয়েছি, সেটি কেবল একটি নিরাপত্তা সংক্রান্ত জোট নয়; বরং স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রশ্নে দুই দেশের যে সাদৃশ্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি— সেটির ভিত্তি আরও দৃঢ় করার প্রয়াস।
শেষে হোয়াইট হাউসে জাঁকজমকপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে অংশ নেবেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ও তার সফরসঙ্গীরা। ইয়ুনের পছন্দের সব খাবারের পাশপাশি দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যগত বিভিন্ন খাবারের পদ রাখা হয়েছে সেই নৈশভোজে। এসব খাদ্যপদ রান্নায় প্রধান পাচকের দায়িত্বে যিনি আছেন, তিনি দক্ষিণ কোরিয়া বংশোদ্ভূত।
গত প্রায় এক বছর ধরে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা কোরিয়া প্রণালিতে একের পর এক বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে কয়েকটি দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্রসীমার মধ্যেও পড়েছে।
দুই কোরিয়া একসময় এক দেশ ছিল। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত চলা ৩ বছরের গৃহযুদ্ধে দেশটি ভেঙে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া নামের পৃথক দু’টি দেশ হয়।
পৃথক হওয়ার পর থেকে প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে কখনও সেই অর্থে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখা যায়নি। তবে গত এক বছরে দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন