বিশেষ প্রতিনিধি, নিউ ইয়র্ক//
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরে বড় ধরনের একটি প্রকল্পের প্রস্তাব বিশ্বব্যাংক দিতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছয় দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।
ড. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক আমাদের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের কাছে একটি মডেল কান্ট্রি। সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসি সফর করছেন। বিশ্বব্যাংক নিশ্চয়ই আমাদেরকে সম্মান দিয়ে হয়তো বড় ধরনের একটি প্রজেক্ট প্রপজাল দেবে।’
জাপানে দ্বিপক্ষীয় সফর শেষে স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপান থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি ওয়াশিংটন ডিসিতে ডুলেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের বিকল্প পরিচালক ড. আহমেদ কায়কাউস ও বাইডেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিশ্বব্যাংকের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানাও রয়েছেন এবারের সফরে।
আজ শনিবার ২৯ এপ্রিল বিকেলে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এর মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সফর শুরু হবে। বিশ্বব্যাংকে পয়লা মে সকাল ৯টায় সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট এইচ ই ডেভিড ম্যালপাসের সঙ্গে যৌথভাবে চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ‘রিফ্লেকশন অন ফিফটি ইয়ার্স অব ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-বাংলাদেশ পার্টনারশিপ’ উদযাপনের কার্যক্রম। দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য সব কর্মসূচিতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন অনুষ্ঠান চলাকালে বিশ্বব্যাংক সদর দপ্তরের বাইরে ‘জয়-বাংলা’ সমাবেশ করবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। সারা আমেরিকা থেকে নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুনসহ ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটন ডিসিতে জড়ো হয়েছেন। পয়লা মে নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া, বস্টন, ম্যারিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, ফ্লোরিডা, টেক্সাস থেকে বাসের বহর যাবে ওয়াশিংটন ডিসিতে। এর বিপরীতে বিএনপির নেতাকর্মীরাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সেখানে বিক্ষোভ করার ঘোষণা দিয়েছে। এ নিয়ে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করলেও, উভয় পক্ষই নিরাপদ দূরত্বে নিজ নিজ কর্মসূচি সফল করার ঘোষণা দিয়েছে।
পরের দিন দোসরা মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সুজেন পি ক্লার্কের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একই দিন একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীদের একটি সংবর্ধনায় অংশ নেবেন তিনি। আগামী ৪ মে লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করার আগে বিশ্বখ্যাত দি ইকোনমিস্ট পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন