জিবিডেস্ক //
চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরব-ইসরায়েল রুটে সরাসরি হজ ফ্লাইট চালুর জন্য সৌদির সহায়তা চেয়েছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যের এই ইহুদি শাসিত ভূখণ্ডটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন বুধবার এক বেতার সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য।
বুধবার ইসরায়েলের আর্মি রেডিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চলতি বছর থেকেই সৌদি-ইসরায়েল রুটে সরাসরি হজ ফ্লাইট চালুর জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। বর্তমানে বিষয়টি দুই রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ে আলোচনাধীন আছে। এখনও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি, তবে আমরা আশা করছি— সৌদি আরব আমাদের অনুরোধে সাড়া দেবে।’
‘যদি সৌদি সাড়া দেয়, সেক্ষেত্রে আমাদের মধ্যকার সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও একধাপ অগ্রসর হবে,’ সাক্ষাৎকারে বলেন এলি কোহেন।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের ৬ দেশ—সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, ওমান ও বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনেরও সফল হয় মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদি শাসিত এই ভূখণ্ডটি।
সৌদি আরব এখনও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি,আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপন করেনি। তবে আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টিকে অনুমোদন দিয়েছে উপসাগরীয় অঞ্চলের এই নেতৃস্থানীয় দেশটি।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সৌদিসহ অন্যান উপসাগরীয় দেশের সঙ্গে গত তিন বছরে সম্পর্কের মাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে ইসরায়েলের।
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিন মুসলিম অধ্যুষিত। এছাড়া ইসরায়েলের মোট জনগোষ্ঠীর এক তৃতীয়াংশই আরব বংশোদ্ভূত মুসলিম।
প্রতি বছর হজ মৌসুমে ইসরায়েল এবং অবরুদ্ধ ফিলিস্তিন থেকে বিপুল সংখ্যক মুসলিম সৌদিতে যান, কিন্তু সরাসরি ফ্লাইট যোগাযোগ না থাকায় তাদেরকে তৃতীয় কোনো দেশ হয়ে সৌদিতে পৌঁছাতে হয়।
গত ১০ মার্চ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পূর্বসূরি ইয়াইর লাপিদ দাবি করেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার সময় গত বছর থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট চালুর জন্য সৌদির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল ইসরায়েল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন