জাহাজভাঙা শিল্পকে নিরাপদ করতে কাজ করছে সরকার

জিবিডেস্ক //

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, জাহাজভাঙা শিল্পকে পরিবেশসম্মত ও নিরাপদ করতে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার। জাহাজভাঙার ক্ষেত্রে যাতে ক্ষতিকর রাসায়নিক, জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি, জীববৈচিত্র্যের প্রতি হুমকি রোধ করা হয়, তা নিশ্চিতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। 

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সরকার প্রণীত বিপজ্জনক বর্জ্য ও জাহাজভাঙার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১১; ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১, চিকিৎসা-বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণ করা হচ্ছে। এসব বিধিমালার সঠিক বাস্তবায়নে যেকোনো জাহাজভাঙার ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিয়মিত পরিদর্শন করছে।

বুধবার (১০ মে) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নরওয়ের জলবায়ু ও পরিবেশবিষয়ক উপমন্ত্রী রাগনহিল্ড সজোনার সিরস্টাড এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সভায় পরিবেশ উপমন্ত্রী এ কথা বলেন। 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন ইকটার-সেভেনডসেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, উপসচিব মো. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, নরওয়ে দূতাবাস ডেপুটি হেড অব মিশন সিলজে ফাইনস ওয়ানেবোসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা এবং নরওয়ের জাহাজ মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

এ সময় নরওয়ের জলবায়ু ও পরিবেশবিষয়ক উপমন্ত্রী রাগনহিল্ড সজোনার সিরস্টাড এবং রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টর-সভেনডসেন বাংলাদেশ সরকারকে জাহাজের নিরাপদ এবং পরিবেশগতভাবে পুনর্ব্যবহারের জন্য হংকং আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুমোদনে সহায়তা করার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেন। 

নরওয়ের উপমন্ত্রী বলেন, নরওয়ে সরকারের ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড থেকে সহায়ত দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত একটি দেশ। এ সংক্রান্ত থাইল্যান্ডের আঞ্চলিক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশকে জলবায়ু মোকাবিলায় সহায়তা করা হবে। এছাড়াও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রদত্ত সহায়তা অব্যাহত থাকবে। 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ৭ম। এর ফলে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ সম্পদ হারাচ্ছে। এসময় তিনি আন্তর্জাতিক প্রতিজ্ঞা রক্ষায় সক্ষমতা বৃদ্ধি, রাসায়নিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ, সবুজ শিল্প স্থাপনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নরওয়ের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা কামনা করেন।

সচিব বলেন, নরওয়েসহ উন্নত বিশ্বের সহায়তা পেলে বাংলাদেশ সরকার প্রণীত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব হতে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে।

আলোচনায় উভয় পক্ষ, সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোসহ জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। কপ২৮ সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করার বিষয়েও দুপক্ষ ঐক্যমত পোষণ করেন।  

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন