জিবিডেস্ক //
বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ চ্যালেঞ্জ ট্রফি ওমেন্স হ্যান্ডবল টুর্নামেন্টে ফাইনালে বাংলাদেশের দুই দল। বাংলাদেশ জুনিয়র দল (অনূর্ধ্ব-১৯) ২৩- ০৯ গোলে হারিয়েছে নেপালকে। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ১৩-০৫ গোলে। বাংলাদেশ দলের শ্যামলী মিনজ করেছেন সর্বোচ্চ ১২ গোল। এছাড়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দল ৫০-৪ গোলে হারায় নেপালের ইয়ুথ দলকে।
পরপর দুটি ম্যাচ জিতে খুশি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ আমজাদ হোসেন, ‘আজ আমরা পুরো শক্তি দিয়ে খেলিনি। কারণ আমাদের পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভারত। ওই ম্যাচটা গ্রুপের শেষ ম্যাচ। আমাদের লক্ষ্য ছিল যারা দুর্বল খেলোয়াড় তাদের সুযোগ দেওয়া। ওদেরকে পরখ করে দেখা। সেটা আমি করতে পেরেছি। পরের ম্যাচের জন্য ওদের তৈরি করতে চেয়েছি।’
ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি, ‘ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড় অভিজ্ঞ। তারপরও আগামীকাল ওদের সঙ্গে একটা ম্যাচ খেলতে পারব। ওই ম্যাচে নিজেদের আরও ভালোভাবে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। এই ম্যাচে ওদের খেলা পর্যবেক্ষণ করে পরের ম্যাচের জন্য কৌশল ঠিক করব। অবশ্য এত অল্প প্রস্ততির পরও সব মিলিয়ে দুটি ম্যাচে আমাদের মেয়েদের পারফরম্যান্সে আমি খুবই খুশি।’
বড় জয় পেয়েও অবশ্য বাংলাদেশ অ-১৭ দলের কোচ ডালিয়া আক্তারের কন্ঠে কিছুটা আফসোস, ‘আজ আমরা অনেক গোলের ব্যবধানে জিতেছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ কঠিন হলে নিজেদের আরেকটু ভালোভাবে ঝালিয়ে নিতে পারতাম। যেহেতু আমাদের পরের ম্যাচ ভারতের সঙ্গে এবং ওরা বিশ্বমানের হ্যান্ডবল খেলে, অনেক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। সেই হিসেবে একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ পেলে আমাদের জন্যই আরেকটু ভালো হতো।’
আজকের ম্যাচে সবচেয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন দীপা রানী। কোচ তাকে একাধারে উইংয়ে, লেফট ব্যাকে ও সেন্টার ব্যাকে ও রাইট ব্যাকে খেলিয়েছেন। ম্যাচ শেষে কোচের মুখে তাই ঝরল দীপার প্রশংসা, ‘গত ম্যাচের মতোই দীপা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছে। ওকে যেখানে যে পজিশনে খেলিয়েছি সব জায়গাতেই ভালো করেছে। যখনই যেখানে দিয়েছি সেখানেই নিজেকে প্রমাণ করেছে।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন