ফররুখ আহমদ ছিলেন বাংলাদেশের কবি, গণমানুষের কবি মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, তার কবিতায় বাংলাভাষা ও বাংলাদেশের মানুষের জীবনচিত্র অসাধারণভাবে ফুটে উঠেছে। তার কবিতায় তিনি তুলে এনেছেন বাংলার শেকড় ও সংস্কৃতি। তিনি ছিলেন বাংলা কাব্য-সাহিত্যের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। আমাদের সাহিত্য-ইতিহাসের স্বল্পালোচিত ব্যক্তিসমূহের অন্যতম। অথচ বাংলা কাব্যে তাঁর আসন তর্কাতীতভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত। নজরুলের মতই বাংলা কাব্যগগণে তাঁর আবির্ভাব ছিল ধূমকেতুর মত।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘জাগরনের কবি ফররুল আহমেদের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কবি ফররুখ ছিলেন গণজাগরণের কবি। তিনি মানুষের মধ্যে চেতনাবোধ তৈরি করে গেছেন। স্বাধীনতা, সাম্য ও মুক্তির চেতনা। আজকে কবিদের মধ্যে সেই জাগরণ নেই। দেশের মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। চলাফেরার স্বাধীনতা নেই। কিন্তু কবি-সাহিত্যিকেরা নীরবতা পালন করছেন। ফররুখ বেঁচে থাকলে অবশ্যই জাগরণের কথা বলতেন।
তিনি আরো বলেন, কবি ফররুখ আহমদ ছিলেন এক বিশেষ ঐতিহ্যানুসারী সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন ঐতিহ্যসন্ধানী। বাঙলা কাব্যে তিনি নতুন ঐতিহ্য নির্মাণ করেন। সিন্দাবাদ, হাতেম ও নৌফেল ইত্যাদি নাম-চরিত্র ছিল তাঁর কাব্যের অনুষঙ্গ। আরব্যোপন্যাসের মুগ্ধ পাঠক ছিলেন জন্যেই বোধকরি হাজার এক রজনী’র বহু ঘটনা ও চরিত্র তাঁর হাতের ছোঁয়ায় নতুন প্রাণ পেয়েছে।
সংগঠনের সদস্য সচিব সোলায়মান সোহেলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, নারী নেত্রী মির্জা শেলী, শ্রমিক নেতা আবদুল্লাহ আল কাউছারী, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য বিশিষ্ট লেখক আলাউদ্দিন আলী, ছাড়াকার হাবিব রায়হান, আবদুল আলিম, হাসিবুল হাসান শান্ত প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন