‘নির্বাচন শেষেই ফাটল ধরবে এরদোয়ান বিরোধী জোটে’

জিবিডেস্ক //

রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরাতে এক জোট হয়েছিল তুরস্কের ছয়টি রাজনৈতিক দল। ধারণা করা হয়েছিল ‘স্বল্প ও মিষ্টভাষী’ কেমাল কেলিচদারোগলোর নেতৃত্বাধীন এ জোট এরদোয়ানকে হারিয়ে দেবেন।

তবে গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানকে হারাতে পারেনি বিরোধী জোট। আবার এরদোয়ানও এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হতে পারেননি। ফলে এখন তুরস্কে আগামী ২৮ মে রান-অফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এরদোয়ান ও কেমাল। এই ভোটে যিনি সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছাড়াও কেমালের নেতৃত্বাধীন জোট দেশটির সংসদেও আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করতে পারেনি। এর বদলে এরদোয়ানের একে পার্টিই সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।

তবে এরদোয়ানকে হারাতে যে ছয়টি দল এক হয়েছিল তাদের মধ্যে নির্বাচন শেষেই ফাটল ধরবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া আসন্ন রান-অফ নির্বাচন নিয়েও জোটের মধ্যে শক্তিশালী কোনো কৌশল পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তার্কিস সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।

রাজধানী আঙ্কারার হাচি বারাম ভেলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সুয়ে নিলহান আকিকালিন সংবাদমাধ্যটিকে বলেছেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগেই  যৌথ কৌশল ঠিক করতে ব্যর্থ হয়েছিল কেমালের জোট।

তিনি আরও বলেছেন, শুধুমাত্র এরদোয়ানের বিরুদ্ধে এক হওয়া ছাড়া অন্য বিষয়গুলোতে এক মত হতে না পারলে কেমালের জোট শুধুমাত্র ‘অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তাই আনবে।’

যেহেতু প্রথম ধাপে আশানুরূপ ফলাফল পাননি সে কারণে কেমাল কেলিচদারোগলো রান-অফ নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেবেন কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে এ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন, এমন কোনো সম্ভাবনা নেই।

এরপর তিনি নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে জোট গঠন ও কাকে জোটের প্রতিদ্বন্দ্বি করা হবে সে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। এ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন, নির্বাচনের আগে জোটের প্রার্থী বাঁছাই নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। ফলে তার মতে, নির্বাচন শেষে এ জোট বিভক্ত হয়ে যাবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন