সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
ছাতকে ভিজিডি কার্ড বিতরনের নামে এক ইউপির সদস্য মুজাক্কির হোসেনের বিরুদ্ধে
ব্যাপক অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগের ঘটনায় জেলাজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপির সদস্য মুজাক্কির হোসেন
তার আপন মামাতো ভাই বউ হাসিনা বেগম,খালেদা বেগম,,চাচাতো ভাই রোজিনা বেগম,চাচি সালেখা বেগম,কোটিপতি সুপ্তি রানী সুত্রধর,বিশাল বিল্ডিং ও দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী হোসনা বেগম নামে রিতরন করেন। জিনিয়া বেগম নামে এক মহিলা তার স্বামী বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলা পাগলা
গ্রামে থাকেন। এ মহিলা নামে ভিজিডি কার্ড দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপির সদস্যে বিরুদ্ধে। গবীরের ভিজিডি কার্ড ধনাঢ্য প্রবাসীর স্ত্রী তার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়মবহির্ভূতভাবে বিতরনের নামে বিভিন্ন দুনীতি নানা অনিয়মের অভিযোগ সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউপির কাশিপুর গ্রামের মইন উদ্দিন ও বাদে মষ্যাদ গ্রামের আব্দুর রহমানসহ পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার ৮নং খুরমা দক্ষিণ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপির সদস্য মুজাক্কির হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তার ওয়ার্ডের অর্ন্তভূক্ত সবকটি গ্রামে সমান ভাবে ভিজিডি কার্ড বিতরন করার নামে অনিয়ম করে আসছে। ২০২৩-২৪ সনের ভিজিডি ১০টি কার্ড বরাদ্দ পেয়ে দুটি গ্রামকে বাদ দিয়ে ৯টি কার্ড তার গ্রামের মামাতো ভাই ২ জন বউ, চাচি,একই বাড়ির রোজিনা বেগম ও ছালেখা বেগম ছাড়াও তার দুই নিকট আত্মীয় শিল্পী বেগম ও নাজমা বেগম, সুপ্তি রানী ও মর্যাদ গ্রামে দুবাই প্রবাসী স্ত্রী খালেদা বেগমসহ ভিজিডি দেওয়ার অনিয়মের অভিযোগ করা হয় ।এব্যাপারে মেম্বার মুজাক্কির হোসেন তার বিরুদ্ধে আনিত সবগুলা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এ ওয়ার্ডে কার্ড পাবার যোগ্য আছে ৪শ জন লোক।
এ ব্যাপারে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড.মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জানান, অভিযোগ প্রাপ্তির এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তদন্তপুবক আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।##
আনোয়ার হোসেন রনি

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন