কে হচ্ছেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,কে পরবেন বিজয়ের মালা

জিবি নিউজ ডেস্ক।। 

ভোটার সর্বসাকুল্যে ৯৪৪ জন। তবে তারা কেউই সাধারণ ভোটার নন। সাধারণ ভোটারদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তারা। এই জনপ্রতিনিধিরাই আগামীকাল মঙ্গলবার ২০ অক্টোবর জেলা পরিষদের একজন পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। তাই এই নির্বাচন ছোট পরিসরে হলেও এর ব্যাপকতা অনেক। হয়তো তাই এই উপ-নির্বাচনেও উত্তাপ-উত্তেজনা আর স্নায়ুচাপের কমতি দেখা যায়নি কোথাও।

ইতোমধ্যেই জেলাজুড়ে সরব আলোচনা চলছে কে হচ্ছেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ।
কার গলায় বিজয়ের মালা হবে এই নিয়ে চলছে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ। 

মঙ্গলবার ২০ অক্টোবর পুরো জেলায় ১৫টি কেন্দ্রে ৯৪৪ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

বলা যায়- জনপ্রতিনিধি ভোটারদের এখন পোয়াবারো। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সকল প্রার্থী ছুটে যাচ্ছেন প্রত্যেক ভোটারের দরজায়। প্রার্থীদের আশ্বাসও দিচ্ছেন তারা আর নিচ্ছেন বিভিন্ন উপঢৌকন। তবে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যকার জেলা পরিষদের এ নির্বাচনে লেনদেনের ঘটনাকে সাধারণ ঘটনা হিসেবেই দেখছেন প্রার্থী ও ভোটারসহ সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে জেলা পরিষদের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান। বিজয়ের মালা পরতে রাত-দিন জেলার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে দৌড়েছেন দুই প্রাথী। সকাল থেকে দুপুর, জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে দৌড়াচ্ছেন ভোটারদের ধারে ধারে। রাত কিংবা দিন মিলে বিশ্রাম নেই তার। মাঠপর্যায়ে ৬৭ ইউনিয়ন, ৫ পৌরসভা ও ৭ উপজেলার সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও কাজ করছেন।

এদিকে বিএনপি বা অন্য কোনো দলের প্রার্থী না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এমএ রহিম (সিআইপি)। তবে নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে সংশয়ের কথা ব্যক্ত করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।

ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মিছবাহুর রহমান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে রয়েছেন এমএ রহিম (সিআইপি)।

জানা যায়, গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে শাসক দল, বিরোধী দল, স্বতন্ত্র এবং বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে খেলেছেন। এবার তার ব্যতিক্রম। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে কমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন।

এ নিয়ে সদর, কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের একাধিক ভোটারদের সঙ্গে কথা হলে তারা নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে সংশয়ের কথা ব্যক্ত করেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ রহিমের অভিযোগ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে আমার পোস্টার ও বিলবোর্ড ইতিমধ্যে ছিঁড়ে ফেলছেন। আমার নেতাকর্মীদের প্রচার চালাতে দেয়া হচ্ছে না।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মিছবাহুর রহমানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজমল হোসেন বলেন, টেবিলে রেখে ভোট দিতে হবে এ ধরনের কথা ভোটারদের আমরা কখনও বলিনি। তবে এলাকায় আমাদের সংগঠনের কেউ বলে থাকলে এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

এটি দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিশ্বাস করি এবং সেই আলোকেই ভোট হবে। ভোটে শক্তি প্রয়োগ করার কোনো প্রশ্নই উঠে না। ভোটের মাধ্যমেই জয়-পরাজয় নিশ্চিত হবে।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, উভয় প্রার্থীই পরস্পরের বিরুদ্ধে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগগুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

তবে অভিযোগের সঙ্গে কেউই কোনো প্রমাণাদি জমা দিতে পারেননি। তবে নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের বিষয়ে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গত ১৮ আগস্ট মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন