জিবিডেস্ক //
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তায় ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।
নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ জুন) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে চলতি বছরের জন্য `ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ)` এ অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেয় বাংলাদেশ।
স্থায়ী মিশন জানায়, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলনস্বরুপ ২০১৮ সাল থেকে ইউএনআরডব্লিউএ-তে এ অনুদান দিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
এবার সম্মেলনটি আহ্বান করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেশী। এতে সদস্য দেশগুলোকে ফিলিস্তিনি শরণার্থী এবং তাদের জন্য নিবেদিত সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র কার্যাবলীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ব্রিফ করেন ইউএনআরডব্লিউএ-এর কমিশনার জেনারেল।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মো. মনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার অঙ্গীকার ঘোষণা করেন।
উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তার বক্তব্যে ইউএনআরডব্লিউএ-এর চলমান তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি টেকসই, অনুমানযোগ্য এবং পর্যাপ্ত তহবিল সুরক্ষার ওপর জোর দেন।
মনোয়ার হোসেন বলেন, ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ইউএনআরডব্লিউএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে শুধু আর্থিক সমর্থন দেওয়া সমাধান নয়, এই সংকটের একমাত্র সমাধান হলো ১৯৬৭-এর পূর্ববর্তী সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান অর্জনের মাধ্যমে ইসরায়েলি অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের রেজুলেশনের মাধ্যমে ১৯৪৯ সালে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের তাদের দুর্দশার ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য সহায়তা এবং সুরক্ষা দেওয়ার জন্য একটি মানবিক এবং উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইউএনআরডব্লিউএ। বর্তমানে এই সংস্থায় শরণার্থী হিসেবে ৫.৯ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি নিবন্ধিত রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন