জিবিডেস্ক //
সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপ জয় ও বর্ষসেরা পুরস্কারসহ ব্যক্তিগত সব অর্জনে পুরো মৌসুমটাই রাঙাতে পারতেন লিওনেল মেসি। কিন্তু সুখকর সময়ের মাঝে বিষাদ হয়ে এসেছিল পিএসজির হয়ে মাঠের পারফরম্যান্স। দুটি লিগ টাইটেল ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে পিএসজির বিদায়ের পর বাড়তি হিসেবে নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে এসেছিল আর্জেন্টাইন অধিনায়কের ওপর। তবে সেই সময় পেরিয়ে একমাত্র সর্বশেষ লিগ ওয়ানে চ্যাম্পিয়ন হয় পিএসজি। অম্লমধুর সেই সময় শেষ, পিএসজির হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন মেসি।
যদিও শেষ ম্যাচটা জয় দিয়ে রাঙাতে পারলেন না বিশ্বজয়ী মহাতারকা। ফ্রেঞ্চ লিগ আঁ-তে ক্লেরমেঁর বিপক্ষে ফরাসি জায়ান্টদের জার্সি পরে মেসি শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। কিন্তু ২-৩ গোলে হেরে গেছে তার দল পিএসজি। তবে আগে থেকেই জানা ছিল ফুটবল জাদুকরের বিদায়ের কথা। তাই তো ম্যাচজুড়ে জমকালো আতশবাজি আর বর্ণিল আয়োজনে তারা মেসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছে।
পার্ক দে প্রিন্সেসের অম্ল-মধুর অনেক স্মৃতি সঙ্গী হয়েছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের রূপকারের সঙ্গে। শুরুতে বিচ্ছিন্ন কিছু দর্শক দুয়োধ্বনি তুললেও, বেশিরভাগ সমর্থকের মুখেই ছিল মেসিবন্দনা। তাদের ফুটবল জাদুকর যেখানেই যান যেন রাজার মতো মাঠ শাসিয়ে বেড়ান। আদরের তিন সন্তানকে পরম মমতায় বাবাকে আগলে রেখে শেষবারের জন্য মাঠে পা মাড়ান মেসি। থিয়াগো, ম্যাত্তেও এবং চিরো ছিলেন স্মরণীয় সেই সময়ের দর্শক।
এদিন মেসির বিদায়ে বন্ধু ও ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়রও মাঠে হাজির হয়েছিলেন। গ্যালারিতে বসেই তিনি দেখেছেন মেসি-রামোসদের বিদায়ী ম্যাচ। পরবর্তীতে ম্যাচ শেষে সতীর্থদের সঙ্গে নেইমার লিগ জয়ের আনন্দও উদ্যাপন করেন। আর প্রিয় বন্ধু মেসিকে বিদায় জানিয়েছেন কাছ থেকে। এটিও তার শেষ ম্যাচ হতে পারতো। তবে গত ২০ ফেব্রুয়ারি পিএসজির জার্সিতে খেলার সময় ডান পায়ের অ্যাঙ্কেলে চোট পান নেইমার। এরপর থেকেই দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে রয়েছেন তিনি। মার্চ মাসে দোহায় তার পায়ে অস্ত্রোপচার করানো হয়। তারপর থেকে মাঠে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেইমার।
ছয় মৌসুম ধরে পিএসজিতে খেলা নেইমারও মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়ার কথা রয়েছে। তাকে নিতে কয়েকটি ইংলিশ ক্লাব আগ্রহ দেখিয়েছে ইতোমধ্যে। তবে কবে নাগাদ পিএসজি ছাড়বেন এবং পরবর্তী গন্তব্য সম্পর্কে নেইমার এখনও কিছু জানাননি। ক্লাবটির সঙ্গে তার সম্পর্কও ভালো নয়। একাধিক ক্লাব সংশ্লিষ্টের সঙ্গে বিবাদে জড়ানো এবং দর্শকদের কাছ থেকে ‘নেইমার, গেট আউট’ স্লোগান তার মানসিকতায় দারুণ আঘাত করে। ফলে তিনি ক্লাব ছাড়তে রাজি বলে জানিয়েছিল সংবাদমাধ্যম লা প্যারিসিয়েন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন