জীবনের সকল সময় রাষ্ট্রীয় অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্যতম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছিলেন অলি আহাদ বলে মন্তব্য করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, শাসকের অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবনে জেল খেটেছেন অন্তত ১৭বার। তবু আপোষ করেননি। আপোষ বলে কোন শব্ধ ছিল না তার জীবনে। রাজনৈতিক ইতহাসের এক উজ্জল নক্ষত্রের নাম হচ্ছে ভাষা বীর, ভাষা সৈনিক অলি আহাদ। একজন চীর বিপ্লবী, চীর বিদ্রোহী রাজনীতিকের নাম। জীবনের ইতিহাসে আপোষ নাই বললেই চলে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে “জাতীয় রাজনীতির অহংঙ্কার ভাষা সৈনিক অলি আহাদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে ভাষা সৈনিক অলি আহাদ স্মৃতি সংসদ আয়োজিত প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
এসময় মরহুম জাতীয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ভাষা সৈনিক অলি আহাদ প্রতিষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক লীগ-ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, জাতীয় জনতা ফোরাম সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, খাসখবর সম্পাদক মারুফ সরকার প্রমুখ।
ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি বলেন, দেশে সকল সামরিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আপোসহীন ভূমিকার কারণেও তিনি নিগৃহীত হয়েছেন বার বার। শাসকদের দুর্নীতি-দুবৃত্তায়ন, স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে তার কন্ঠ ছিল সকল সময়ই সোচ্চার। এখানে তিনি কোন আপোষ করেন নাই। বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে পরিচালিত সকল সংগ্রামে অকুতোভয় এই লড়াকু জননায়ক আজীবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ভাষা বীর অলি আহাদ ছিলেন এক বিরল নেতৃত্ব। তিনি একই সঙ্গে যেমন আপোষহীন তেমনি দৃঢ়চিত্তের মানুষ ছিলেন। অলি আহাদ শুধু একটি নাম নয়, অলি আহাদ একটি সংগ্রামের নাম- সংগ্রামী ইতিহাসের একটি অনন্য অভিধান।
তিনি বলেন, নীতির প্রশ্নে আপোষহীন পথে সারা জীবনের যাত্রা ছিল অলি আহাদের। রাজনীতি সংগ্রামের দুর্গম গিরি মরু কান্ডার, পেরিয়ে তাঁর সেই যাত্রা আজীবন অব্যাহত ছিলো। যেখানইে স্বৈরাচারী একনায়ক, কিংবা যেখানেই গণতন্ত্রের নামাবলি গায়ে- দেয়া কোন ফ্যাসিস্ট শাসক, সেখানেই তাদের গণবিরোধী ভূমিকার বিরুদ্ধে অলি আহাদের কন্ঠ বর্জনির্ঘোষ। তাঁর সম্পাদিত ‘সাপ্তাহিক ইত্তেহাদ্’ সকল আগ্রাসন আধিপত্যবাদ আর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছিল এক দ্রোহের বহ্নিশিখা। অলি আহাদের এই আপোষহীন রাজনীতির ফসল যারা ভোগ করেছেন তারাও তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারেন নাই।
এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, ভাষা সৈনিক অলি আহাদ আমাদের জাতীয় জীবনের অহঙ্কার। তার জীবন আমাদের অধিকার আদায়ের, গনতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে অনুপ্রেরনা যোগায়। জাতীয় এক্যের স্বার্থেই তাকে স্মরণ করা প্রয়োজন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন