‘ব্যর্থ হচ্ছে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ, সেনাদের অবস্থা বিপর্যয়কর’

রুশ সেনাদের হটিয়ে দিতে কয়েকদিন আগে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেনীয় সেনারা। এ পর্যন্ত দোনেৎস্কের কয়েকটি গ্রাম পুনর্দখলের দাবিও করেছে তারা।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর এ অভিযান চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে এবং তাদের অবস্থা বিপর্যয়কর।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) সাংবাদিক ও ব্লগারদের সঙ্গে ইউক্রেনীয় বাহিনীর এ বিশেষ অভিযান নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন পুতিন।

তিনি দাবি করেন, নতুন আক্রমণে ইউক্রেনের ১৬০টি ট্যাংক এবং ৩৬০টি সাঁজোয়ান যান ধ্বংস হয়েছে। যেখানে রাশিয়া হারিয়েছে মাত্র ৫৪টি ট্যাংক।

এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার যেসব সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনী হামলা চালিয়েছে সেসব নিয়েও কথা বলেছেন পুতিন। তিনি বলেছেন, যদি রাশিয়ার ভেতর হামলা অব্যাহত থাকে তাহলে নিজ সেনাদের ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো দখলের নির্দেশ দেবেন। এ ব্যাপারে পুতিন বলেছেন, ‘যদি কিয়েভ হামলা অব্যাহত রাখে, তাহলে আমাদের একটি স্যানেটারি জোন তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে, যেন তারা আমাদের অঞ্চলে হামলা করতে না পারে।’

পর্যাপ্ত অস্ত্র ও ড্রোন নেই

ইউক্রেনের সেনাদের হামলার জবাবে রাশিয়া পাল্টা আক্রমণ চালাবে কিনা এমন প্রশ্ন করা হয় পুতিনের কাছে। তবে এর সরাসরি কোনো উত্তর দেননি তিনি। এর বদলে বলেছেন, সামরিক শক্তির ওপর বিবেচনা করে নতুন হামলার বিষয়টি ঠিক করা হবে।

অপরদিকে রাশিয়ার কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র নেই বলেও জানিয়েছেন পুতিন।

তিনি বলেছেন, রাশিয়ার অস্ত্রের মান বেড়েছে। কিন্তু বর্তমানে তাদের নির্ভুল লক্ষ্যভেদকারী অস্ত্র ও ড্রোনের ঘাটতি রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর অস্ত্র উৎপাদন ২ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্ট আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি ছিলেন তারা। কিন্তু এখন যুদ্ধ থামানোর একমাত্র উপায় হলো— পশ্চিমা দেশগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।

এছাড়া শস্য চুক্তি নিয়েও মন্তব্য করেছেন পুতিন। যে চুক্তির মাধ্যমে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে নিরাপদে ইউক্রেনের শস্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যাচ্ছে।

তবে রুশ প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তিটি করেছিলেন যেন আফ্রিকার অনুন্নত এবং রাশিয়ার বন্ধু দেশগুলো শস্য পেতে পারে। কিন্তু বর্তমানে তারা দেখতে পাচ্ছেন, ইউক্রেনের বেশিরভাগ শস্য যাচ্ছে ইউরোপের দেশগুলোতে। যার মাধ্যমে ইউক্রেন বৈদশিক মুদ্রা পাচ্ছে।

এ কারণ জুলাইয়ে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে নতুন করে আর চুক্তি করবেন কিনা— এ বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন পুতিন।

 

জিবিডেস্ক //

 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন