আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে সমুদ্রেই সলিল সমাধি হয়েছে ডুবোযান টাইটানের পাঁচ আরোহীর। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন ১৯ বছর বয়সী ব্রিটিশ-পাকিস্তানি যুবক সুলেমান দাউদ।
তিনি তার বাবা শাহজাদা দাউদের সঙ্গে গত রোববার (১৮ জুন) ছোট টাইটানে করে মহাসমুদ্রের নিচে ডুব দিয়েছিলেন। তবে সুলেমানের ফুফু আজমি দাউদ সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, ভয়ানক এই যাত্রায় যেতেই চাননি সুলেমান। কিন্তু শুধুমাত্র ‘বাবাকে খুশি রাখতেই’ নিজ ইচ্ছার বিরুদ্ধে এতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এমনকি এক আত্মীয়কে নিজের ভয়ের কথাও জানিয়েছিলেন সুলেমান।
একসঙ্গে ভাই ও ভাইয়ের ছেলেকে হারিয়ে অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আজমি দাউদ। তিনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। এটি একটি অবাস্তব পরিস্থিতি।’
‘আমার মনে হচ্ছে আমি খুবই ভয়াবহ ছবিতে আটকে গেছি। একটি গণনার সঙ্গে। কিন্তু আপনি জানেন না আপনি কি গণনা করছেন। ব্যক্তিগতভাবে যখন আমি তাদের কথা চিন্তা করি আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।’
এদিকে দীর্ঘ ৭২ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শেষে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ জুন) জানায়, ছোট ডুবোযান টাইটান সমুদ্রে ডুব দেওয়ার পরই বিস্ফোরিত হয়। এরপর এটি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। যার ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রের নিচে টাইটানিক জাহাজের পাশে গিয়েই পড়ে।
ওই বিস্ফোরণে সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ আরোহীর সবার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন