জুড়ীর দক্ষিণ বড়ডহর- বেহাল দশা রাস্তায় হেঁটে চলা দায়

জালালুর রহমান, জুড়ী(মৌলভীবাজার) রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলা দায়। স্বল্প বৃষ্টিতে পানি জমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ময়লা পানি আর কাদায় ভরপুর জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ডহর গ্রামে ১ কিলোমিটার এ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির বেহাল দশা দেখার যেনো কেউ নেই। প্রতিদিন অত্রাঞ্চলের স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ময়লা, কাদামাখা রাস্তা দিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। বর্যা মৌসুমের শুরুতেই ছোট বড় গর্তসহ রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশই কাদায় একাকার হয়ে যায়। ফলে, এ রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীদের চরম দূর্ভেগ পোহাতে হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সমযে এ রাস্তাটি নির্মান করার পর মাঝে মধ্যে রাস্তার কিছু কিছু অংশ মেরামত করা হলেও প্রতিবছর বর্ষার পানিতে তলিয়ে গিয়ে তা পূনরায় ভেঙ্গে পূর্বের অবস্থা ধারন করে। বর্ষা মৌসুমে বেশিরভাগ সময়ই এ রাস্তাটি তলিয়ে থাকে। ওই সময়  অত্রাঞ্চলের জনসাধারনের যাতায়াত দুষ্কর হয়ে পড়ে। রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে উপজেলার হাফিজি, কলাবাড়ী, সাগরনালসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার শত শত লোক প্রতিদিন যাতায়াত করে। বিভিন্ন পেশার লোকজন তাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিদিন জুড়ী শহরসহ বাছিরপুর ৫০ শয্যা হাসপাতালে ও বিভিন্ন হাট বাজারে যাতায়াত করে থাকেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, রাস্তাটির অবস্থা  এতই করুন যে, যা স্বচক্ষে না দেখলে অনুমান করা যাবে না। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ব্যবসায়ী শহীদ আহমদ, নাজির মিয়া,রেজাক মিয়া, মনু মিয়া এর সাথে। তারা আক্ষেপের ভাষায় বলেন, আমাদের এই কাঁচা রাস্তাটি খুবই খারাপ। হাঁটা চলা করা খুব কষ্ট হয়। বছরের বেশির ভাগ সময় পানিতে ডুবে থাকে রাস্তাটি। বড় বড় গর্ত কাদা আর ময়লা পানির কারনে কাপড় পড়ে হাঁটা চলা করা যায় না। আমাদের সন্তানরা স্কুলে যাইতে কষ্ট হয়। এ সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন করেছে। এইটা আমরা স্বীকার করি। রাস্তাটা মেরামত ও পাঁকা করে দিলে আমাদের সব দুঃখ দুর হইয়া যাইব। অত্রাঞ্চলে একটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ১টি আলিম মাদ্রাসা, ১টি ক্লিনিক। সব দিক বিবেচনায় আনলে রাস্তাটি এখনই মেরামত করা প্রয়োজন। এলাকাবাসী এ রাস্তার সংস্কারসহ পাঁকা করনের কাজটি সমাপ্ত করে এলাকার সকল শ্রেণির মানুষের দুর্ভেগ লাঘবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন