করোনাভাইরাস বিশেষজ্ঞ ও অন্যতম বিজ্ঞানী অ্যান্থনি ফাউচিকে ‘বিপর্যয়’ বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প

gbn

মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে -যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ করোনাভাইরাস বিশেষজ্ঞ ও অন্যতম বিজ্ঞানী অ্যান্থনি ফাউচিকে ‘বিপর্যয়’ বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৯ অক্টোবর লাস ভেগাস থেকে নির্বাচনী প্রচারণা কর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় এই বিজ্ঞানীকে নিয়ে নিজের হতাশা উগরে দেন ট্রাম্প। প্রচারণা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, ‘ফাউচি একটি বিপর্যয়। যদি আমি তার কথা শুনতাম আমাদের ৫ লাখের মৃত্যু হতো।’    ট্রাম্প ও ফাউচি, উভয়েই হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের সদস্য। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারী সবচেয়ে ভালোভাবে সামাল দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ চলছে। এই মহামারীতে যুক্তরাষ্ট্রের ২ লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যুর হয়েছে যা রিপাবলিকান ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনাকে দুর্বল করেছে।    রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টেদের অধীনে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ৭৯ বছর বয়সী ফাউচি সবসময় কোভিড-১৯ কে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার কথা বলে আসছেন। অপরদিকে মহামারীর সবচেয়ে খারাপ সময় পার হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।    ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনী প্রচারণার একটি ভিডিও বিজ্ঞাপনে তার প্রশাসনের মহামারী মোকাবেলা নিয়ে আলোচনায় ফাউচির একটি ক্লিপ জুড়ে দেওয়া হয়, যা নিয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন ফাউচি। এর আগে গত রোববার সিবিএসে ‘সিক্সটি মিনিটস্’ অনুষ্ঠানে ফাউচি বলেছিলেন, ট্রাম্প করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় তিনি বিস্মিত হননি।    ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশগুলোতে তার অনেক সমর্থককেই মাস্ক ছাড়া ও কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, এই দৃশ্য ফাউচি ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মহামারী মোকাবেলার যে গাইড লাইন দিয়েছেন তার বিপরীত।    লাস ভেগাসের ট্রাম্প হোটেল থেকে কথা বলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, টেলিভিশন সাক্ষাৎকারের সময় ফাউচি বোমা মেরেছেন কিন্তু ‘তাকে বরখাস্ত করা হলে তা আরও বড় বোমা’ হয়ে উঠবে।    মহামারীর কারণে আরোপ করা বিধিনিষেধে যুক্তরাষ্ট্রের লোকজন বিরক্ত হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।    তিনি বলেন, লোকজন বলছে: ‘যাই হোক, আমাদের আমাদের মতো থাকতে দিন’। তারা এতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। লোকজন ফাউচি ও এই সব নির্বোধদের কথা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।    ফাউচি ১৯৮৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি এন্ড ইনফেক্সশাস ডিজিজেস এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছেন। ট্রাম্পের এসব বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও ফাউচির দপ্তর তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন