বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রার্থনার মাধ্যমে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে শুরু হয় ঈদ প্রথম জামাতের মোনাজাত। ১০ মিনিটব্যাপী চলা মোনাজাতে আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে দোয়া করেন ছোট-বড় সব বয়সী মুসল্লিরা।
মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক।
মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করা হয়।
এছাড়াও মোনাজাতে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি, মৃতদের আত্মার মাগফিরাত, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত, বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদদের জান্নাত কামনা এবং বিশ্ব মুসলিমের শান্তি ও উন্নতি কামনা করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৭টায় ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ জামাত ছাড়াও বায়তুল মোকাররমে ঈদের আরও চারটি জামাত পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে।
বাকি চারটি জামাত কখন ও কারা ইমাম থাকবেন--
দ্বিতীয় জামাত : সকাল ৮টায়
ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী মো. আতাউর রহমান।
তৃতীয় জামাত : সকাল ৯টায়
ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের চিফ খাদেম মো. শহিদ উল্লাহ।
চতুর্থ জামাত : সকাল ১০টায়
ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাওলানা মো. আনিসুজ্জামান সিকদার। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খাদেম হাফেজ মো. রুহুল আমিন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত : সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে
সর্বশেষ এ জামাতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম হাফেজ মো. জহিরুল ইসলাম।
ঈদের প্রধান জামাত
বরাবরের মতো এবারও রাজধানীতে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে, সকাল সাড়ে ৭টায়। প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন তেজগাঁও রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্পাদক ড. মাওলানা মুশতাক আহমেদ। রাষ্ট্রপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ এ জামাতে অংশ নেবেন। তবে রাষ্ট্রপতি পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।
ঈদ জামাতের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠ। সেখানে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করে জঙ্গি হামলাসহ অন্যান্য নিরাপত্তার কোনো হুমকি নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন