লন্ডন মেয়র প্রার্থিতায় বাংলাদেশী মোজ হোসেন এর সম্ভাবনা বেড়েছে

লন্ডন মেয়র পদে কনজারভেটিভ দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তিন জনের শর্টলিস্ট থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ড্যানিয়েল কর্সকি। তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের পরেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তিনি দলের মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন অবিচল। এক প্রচারণা সভায়ও তিনি যোগ দেন। কিন্তু পরের দিন বৃহস্পতিবার তিনি মনোনয়ন পাওয়ার দৌড় থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। কোনো দোষ করার কথা অস্বীকার করে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই মিথ্যা এবং অপ্রমানিত অভিযোগের কারণে আমার পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং আমার বার্তা পৌঁছে দিতে অক্ষম হওয়ায় আমার এই ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

টেলিভিশন প্রযোজক ও ঔপন্যাসিক ডেইজি গুডউইন মঙ্গলবার টাইমস সংবাদপত্রে একটি আর্টিকেল লিখে ড্যানিয়েল কর্সকির নাম উল্লেখ করে তাঁকে অভিযুক্ত করেন। ডেইজি গুডউইন লিখেন, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় টেন-ডাউনিং স্ট্রীটে কাজ করতেন ড্যানিয়েল কর্সকি। সেখানেই এই মিটিঙে কর্সকি ডেইজির গায়ে খারাপভাবে স্পর্শ করেন।

 

বুধবারও এই অভিযোগ শক্তভাবে অস্বীকার করেন কর্সকি।

ড্যানিয়েল কর্সকিকে কনজারভেটিভ দলের বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতা-এমপি সমর্থন দিয়েছিলেন। কিন্তু নতুন অভিযোগ উত্থাপনের পর অনেকেই তাদের এই সমর্থন স্থগিত করেছেন। ডেইজি গুডউইন বুধবার বিকেলে এক বিবৃতিতে বলেন, তাঁর ঘটনা প্রমাণ করে, কর্মক্ষেত্রে খারাপ আচরণের বিষয়ে নারীরা প্রতিবাদ করতে পারেন এবং তাদেরকে মানুষ বিশ্বাসও করতে পারে।

এদিকে লন্ডন মেয়র পদে কনজারভেটিভ দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লড়াই অব্যাহত আছে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন কোনো শর্টলিস্ট করা হবেনা। তালিকার দুই জন থেকেই একজনকে বেছে নেয়া হবে। শর্টলিস্টে আছে সুজান হল, যিনি কনজারভেটিভ দলের একজন লন্ডন এসেম্বলি মেম্বার; আর আছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্যরিস্টার মোজ হোসেন।

 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন