আগামী ১১ জুলাই চার দিনের সফরে একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জিয়া বাংলাদেশ সফরে আসছেন। ওয়াশিংটনের উচ্চ পর্যায়ের এ প্রতিনিধিদলের সফর বাংলাদেশের জাতীয় নির্বচানকেন্দ্রিক নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র-সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্র-সচিব বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল নির্বাচনের জন্য আসছেন এটা আমাদের তথ্যের মধ্যে নেই। এখানে অনেক ইস্যু আলোচনা হবে। অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, তার মধ্যে একটা হয়তো থাকবে নির্বাচন নিয়ে, সেটাকে রুল আউট করছি না। এটা যে নির্বাচন কেন্দ্রিক সফর সেটা ঠিক নয়।
আগামী ১১ থেকে ১৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ঢাকা সফর করবেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে সঙ্গে থাকছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং ইউএসএইডের এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিটেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রের অঞ্জলী কৌর।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমেরিকার সঙ্গে আমাদের অনেকগুলো মেকানিজম কাজ করছে। লেবার ইস্যু আছে, ট্রেড ইস্যু আছে। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনেও যাবেন।
ভারতের পররাষ্ট্র-সচিবের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলাপ অমূলক
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) ইস্যুতে আলোচনা করতে ঢাকায় এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) সৌরভ কুমার।
ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) সৌরভ কুমারের সফরের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফরের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র-সচিব মাসুদ বিন মোমেন। একই সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র-সচিবের সফরে নির্বাচন নিয়ে আলাপের বিষয়টি অমূলক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বলা হচ্ছে, বিমসটেক ইস্যুতে আলোচনা করতেই ভারতের পররাষ্ট্র-সচিব পূর্ব ঢাকায় এসেছেন। কিন্তু তার সফরের সময়ে ঢাকায় নেই বিমসটেকের সেক্রেটারি জেনারেল। তাহলে বাংলাদেশর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নয়া দিল্লির প্রতিনিধির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা, এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্র সচিবের কাছে।
জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এগুলো একেবারে অমূলক। বিভিন্ন ধরনের স্পেকুলেশান আমরা দেখেছি। এটা ঠিক নয়। কারণ বিমসটেকের সেক্রেটারি জেনারেলের মা মারা গেছেন। তিনি সে কারণে এখানে নেই। এখানে অন্য কিছু নেই।
সৌরভ কুমারের সফরের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফরের কোনো সম্পর্ক নেই জানিয়ে পররাষ্ট্র-সচিব বলেন, ডেটগুলো সব আগেই অরগানাইজ করা হয়েছে। ভারতের সচিব আসলেন তার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদল আসছেন, বিষয়টা এ রকম না। একটা দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সিরিজ অব সফর বা মিটিংস হয়। আমাদের তো কমই হয়।
তিনি বলেন, এগুলো একটার সঙ্গে আরেকটার কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু একের পর এক হয়ে হয়ে যাচ্ছে হয়ত। একই সময়ে তিনটা-চারটা ডেলিগেশন আসছে, এর মানে এই নয় যে প্রত্যেকটা ডেলিগেশন অরগানাইজ করে বা কোঅরডিনেট করে করছে। সুতরাং এখানে এতো রিট করার কিছু নেই। প্রত্যেকটার আলাদা ব্র্যাকগ্রাউন্ড আছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন