বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির সুযোগ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্টাডি সার্কেল লন্ডন ও ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিসের আয়োজনে এই সেমিনারে বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রা নিয়ে মূল প্রবন্ধ ‘বাংলাদেশঃ অদম্য উন্নয়ন যাত্রা’ উপস্থাপন করেন স্টাডি সার্কেল লন্ডনের চেয়ারপারসন সৈয়দ মোজাম্মেল আলী। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন, বেলজিয়াম সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিরেক্টর জন করনেট ইলজিয়াস, বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য তারানা হালিম, ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল এ্যাকশনের দক্ষিন এশিয়া বিষয়ক প্রধান রেনজি টিরিনক, বাংলাদেশের এমপি নাহিম রাজ্জাক, বেলজিয়াম পার্লামেন্ট সদস্য মিলান জভের, বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ফারুক হোসাইন, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেমিনারের সভাপতি ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিসের ডিরেক্টর লিল গোথালস।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা সেটি বিশ্বের উন্নত দেশের জন্য অনুকরনীয় হতে পারে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্ত সামাজিক, গনতন্ত্রের সূচক , দেশের উন্নয়নের সাথে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। কোভিড, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সবকিছুতে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অদম্য।
বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক দশক ধরে, পুরো বিশ্ব বাংলাদেশের অর্থনীতির অভূতপূর্ব অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বেশিরভাগ লক্ষ্য অর্জনে দেশটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এমডিজির আওতায় বেশিরভাগ সামাজিক সূচকের লক্ষ্য অর্জনে আমাদের দেশ প্রতিবেশী ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে।
বক্তারা আরো বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.২২৭ মার্কিন ডলারে। মাথাপিছু আয় (১৯৪৭ মার্কিন ডলার) এবং অনেক মূল অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ দেশ ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। এই উত্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ করোনা অতিমারির কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ অর্থনীতির গতি বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য জাতিসংঘের উন্নয়ন নীতি কমিটির (ইউএন সিডিপি) অনুমোদন পেয়েছে। এমনকি অতিমারির আগে দেশে দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছিল ব্যাপক হারে। প্রশ্ন উত্তর পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বজলুর রশিদ, হাসনাত মিয়া, অধ্যাপক তাজিন মুর্শিদ, মানিক পল সহ আরও অনেকে। এছাড়াও সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন স্টাডি সার্কেলের উপদেষ্টা সুলতান শরীফ, স্টাডি সার্কেল লন্ডনের সমন্বয়ক জামাল খান, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি আনসার আহমেদ উল্লাহ, সাংবাদিক এ ফ ম মাসুম, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের আন্দিজ রোমিং, অধ্যাপক বিজয়স কোস্টাইনে, অধ্যাপক ডিফ্রেগন জিন চরসিটজফের এবং ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট, ইউরোগুল্ফ কনসাল্টিং, ব্রুসেলস ডিপ্লোমেটিক, বেলজিয়াম মিনিস্ট্রি অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স, ব্রুসেলস ইউনিভার্সিটি অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিস, ইউরোপিয়ান কমিশন, ইউকে মিশন টু ব্রুসেলস, ইউ ডেলিগেশন টু বাংলাদেশ, কাউন্সিল অফ ইউরোপিয়ান মুনিসিপালিটিজ এর শতাদিক প্রতিনিধিরা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন