উয়েফার দেয়া শাস্তি মেনে নিয়ে কনফারেন্স লিগ থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নিলো ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস। যার ফলে আসন্ন ২০২৩-২৪ মৌসুমে কোনপ্রকার ইউরোপিয়ান ফুটবলে দেখা যাবেনা ইতালির সফলতম ক্লাবটিকে। ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে বৈঠকের পর এক বছরের জন্য এই শাস্তি মেনে নেয় তুরিনের ক্লাবটি।
ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে ইস্যুতে আগে থেকেই বড় ধরণের ঝামেলায় জড়িয়েছিলো ইতালির সবচেয়ে সফল দল জুভেন্টাস। মৌসুমের একেবারে শেষের দিকে ১০ পয়েন্ট কেটে রাখা হয় তাদের। মূলত দলবদলের চুক্তি ও অর্থ নিয়ে মিথ্যাচার করার দায়ে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (এফআইজিসি) তাদের এই শাস্তি দেয়।
গত জানুয়ারিতে ওই অপরাধে এফআইজিসি জুভেন্টাসের ১৫ পয়েন্ট কেটে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরবর্তীতে এপ্রিলে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে বিচারের আহ্বান জানায় দেশটির সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালত (স্পোর্টস গ্যারান্টি বোর্ড)। তার প্রেক্ষিতে এফআইজিসির আপিল বিভাগ ১০ পয়েন্ট কেটে রাখে তাদের।
মূলত এরপরেই নিশ্চিত হয়ে যায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা হচ্ছে না জুভেন্টাসের। তুরিনের বুড়ি খ্যাত ক্লাবটি মৌসুম শেষ করে সাত নাম্বারে থেকে। নিশ্চিত হয়, উয়েফা কনফারেন্স লিগে জায়গা পাচ্ছে তারা।
তবে, ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে শাস্তিতে যেন দুর্ভোগ থামছে না তাদের। এবার উয়েফার পক্ষ থেকেও শাস্তি আসছে তাদের জন্য। আসন্ন মৌসুমে সেই শাস্তি মেনে না নিলে, পরেরবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে সরিয়ে নেয়া হতো তাদের। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই এবছরের কনফারেন্স লিগ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছে জুভেন্টাস।
যার ফলে ২০২৪-২৫ মৌসুমে কোয়ালিফাই করলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে আর কোন বাঁধা থাকবে না জুভেন্টাসের। সেই সাথে উয়েফার পক্ষ থেকে আর কোনপ্রকার শাস্তিও দেয়া হবে না তাদের।
আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ক্লাবের সভাপতি আন্দ্রে আগনেল্লি ও সহ-সভাপতি পাভেল নেদভেদ। এরপর আগনেল্লিকে দুই বছর এবং নেদভেদকে ৮ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নির্বাসনে দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে অতীত ও বর্তমান মিলিয়ে জুভেন্টাসের ১১ জন পরিচালকের ওপর বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন