সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাসচাপায় ৫ জন নিহতের ঘটনায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ১৭ পরগনার সালিশ কমিটি বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে সোমবার (১০ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের পরিবহন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
রোববার (৯ জুলাই) পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ।
তিনি জানান, শুক্রবার (৭ জুলাই) রাতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দরবস্ত এলাকায় বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস চলতে দেননি জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ। আমাদের কথা হচ্ছে গাড়ি চলতে না দেওয়ার তারা কে? আর যে বাহনটির (ইজিবাইক) সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়েছে সেটি একটি নিষিদ্ধ বাহন। রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা ঘটেতে পারে তাই বলে এ ধরনের কাজ করা তো উচিত নয়। তাই তার এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরা এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, ৭ জুলাই রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দরবস্ত এলাকায় বাস ও ইজিবাইক সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। পর দিন শনিবার রাতে জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ কমিটির এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৯ জুলাই থেকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে সব ধরনের বাস মিনিবাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন