মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে ঃবর্তমান বিশ্বে অপ্রতিরোদ্ধ চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হয়। চীনের অসামান্য অগ্রযাত্রা নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্র চিন্তিত। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাকালে সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেনকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, ‘‘জো বাইডেন যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তাহলে মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই চীন যুক্তরাষ্ট্র দখল করবে।’’ ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে চীনবিরোধী যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে সেই শত্রু দেশটির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঠিকই গোপণে সখ্যতা রেখে চলেছেন। চীনে ট্রাম্পের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে- এমন তথ্য প্রকাশ করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। ট্রাম্প তা স্বীকারও করেছেন। ফলে নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে হঠাৎ করেই নতুন এক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল ম্যানেজমেন্ট ওই অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেন। এমনকি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত স্থানীয় কর প্রদান করা হয় ওই অ্যাকাউন্ট থেকে। ট্রাম্পের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এশিয়ার হোটেল ব্যবসার সম্ভাব্যতা যাছাইয়ে’ ওই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। চীনে যেসব মার্কিন প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে তাদের লক্ষ্য করে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধও শুরু হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ট্রাম্পের ট্যাক্স রেকর্ড থেকে ওই অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে জানতে পেরেছে তারা। ওই রেকর্ডে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত এবং কোম্পানির আর্থিক অবস্থার বিস্তারিত রয়েছে। এর আগে দৈনিকটি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ১৫০০ ডলার ট্যাক্স দিয়েছিলেন ট্রাম্প। অথচ চীনে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে স্থানীয় ট্যাক্স বাবদ ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬১ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। নিজের নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন এবং চীনের প্রতি তার নীতি নিয়ে বাইডেনকে শুরু থেকেই সমালোচনা করে আসছেন ট্রাম্প।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন