মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি করছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। এর ফলে পল্টন থেকে প্রেসক্লাবমুখী রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
রোববার (১৬ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষকদের স্লোগানে মুখরিত প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ। লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে অসংখ্য শিক্ষক। তাদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে পল্টন থেকে প্রেসক্লাব যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে যে-সব বাস পল্টন থেকে আসছে, তারা ঘুরে পল্টনমুখী রাস্তা দিয়ে পার হচ্ছে। এক লেনে দুই মুখী গাড়ির চলাচলে ভোগান্তির কবলে পড়েছেন যাত্রীরা।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা আজ সারাদিনব্যাপী এখানে অবস্থান করবো। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এর আগে সংগঠনের সভাপতি মো. বজলুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই অ্যাকাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য। তাছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয়।
তিনি আরও বলেন, উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকা পাওয়ার পূর্বেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। তাছাড়া কয়েক বছর ধরে কোনো প্রকার সুবিধা না দিয়েই অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট অফিস ঘেরাও করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু এখন অবধি কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
ওএফএ/এমজে
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন