জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
ভিয়েতনাম ও কাতার ফেরত ৮৩ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে ৫৪ ধারার চলমান তদন্ত কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
ভিয়েতনাম ফেরত রহমান নামে এক প্রবাসীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বিদেশফেরত ৮৩ বাংলাদেশিকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে সন্দেহভাজন আসামি দেখিয়ে গ্রেফতার করে তুরাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮১ জন ভিয়েতনাম-ফেরত এবং দুই জন কাতার-ফেরত। গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মোত্তাকিন জানিয়েছিলেন, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে বিদেশফেরত ৮৩ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ওই দুই জায়গায় অবস্থানকালে অপরাধ করেছেন। ভিয়েতনাম থেকে তাদের অপরাধের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। সে কারণে ৮৩ জনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে (৫৪ ধারায়) গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে তাদের জামিন দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘মধ্যেপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ২১৯ জন প্রবাসী দেশে ফেরত আসার পর তাদের কোয়রেন্টিনে পাঠানো হয়। তারা সেসব দেশে বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশে আসার পর তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হলে তুরাগ থানায় জিডি করে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় তারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য শলাপরামর্শ করছিলেন। গত ৪ জুলাই তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।’
এদিকে, তাদের মধ্যে বাহারাইন থেকে আসা চাঁদপুরের শাহিন আলম গত ১৪ সেপ্টেম্বর জামিন পান। এরপর তার বিরুদ্ধে ৫৪ ধারায় চলমান মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৮ অক্টোবর হাইকোর্ট শাহিনের ক্ষেত্রে মামলার তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে আগামী ৫ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন