জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে চীনের নির্যাতন-নিপীড়ন এবং নৃশংসতাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়েছে কানাডার পার্লামেন্টারি সাবকমিটি।
বুধবার (২১ অক্টোবর) বেইজিংয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞারও আহ্বান জানায় কমিটি।
হাউস অব কমন্সের ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস বিষয়ক সাবকমিটি জানায়, ১০ লাখের মতো সংখ্যালঘু উইঘুরকে চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় স্বায়ত্বশাসিত জিনজিয়ান প্রদেশে বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। তারা নানা ধরনের নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন। যাদের অধিকাংশই মুসলমান।
সাব কমিটি দ্ব্যর্থহীনভাবে জিনজিয়ানে উইঘুর এবং তুর্কি মুসলমানদের ওপর চীনের নির্যাতনের নিন্দা জানিয়েছে। এতে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টিসহ কানাডার তিনটি রাজনৈতিক দলই একাত্মতা প্রকাশ করে।
২০১৮ এবং ২০২০ সালে উইঘুর নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দুটি প্রতিবেদনই সাবকমিটির সামনে উপত্থাপন করা হয়। তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে কমিটি জানায়, উইঘুরদের বিরুদ্ধে চীনের নির্যাতন জাতিসংঘের জেনোসাইড কনভেশন অনুযায়ী গণহত্যার সামিল।
চীনা সরকারের গণহত্যার নিন্দা জানানোর জন্য কানাডার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সাব কমিটি। কমিটি জানিয়েছে, চীনা কমিউনিস্ট সরকারের প্রতি তাদের এ নিন্দা জ্ঞাপন। এ নিন্দা প্রকাশে চীনা নাগরিকরা লক্ষ্যবস্তু নয়।
চীনা সরকার যাতে জিনজিয়ানের উইঘুর বন্দিশালায় পর্যবেক্ষকদের প্রবেশ করতে দেয় তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন টুড্রোকে পরামর্শ দিয়েছে সাব কমিটি।
উইঘুরদের বিরুদ্ধে চীনা নির্যাতনকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দেয়াকে স্বাগত জানিয়েছে কানাডার মুসলিম সহযোগিতা সংস্থা জাস্টিস ফর অল কানাডা টিম।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, উইঘুর নির্যাতনের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টারি সাব কমিটির কার্যকরি পদক্ষেপ এবং কানাডার সরকারকে চীনা কর্তৃপক্ষের নিন্দা জানানোর পরামর্শকে স্বাগত জানায় জাস্টিস ফর আল কানাডা টিম।
নিষেধাজ্ঞাসহ সাবকমিটির সব পদক্ষেপকে সংগঠনটি সমর্থন করে বলেও জানানো হয়। বলা হয়, উইঘুর এবং তুর্কি মুসলিমদের নির্যাতনে জড়িত চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং তাদের বিচারের আওতায় আনার মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিতে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন